মাত্র এক মাস আগে ভয়াবহ বিস্ফোরণে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল লেবাননের রাজধানী বৈরুত। তার রেশ কাটতে না কাটতেই বৈরুতের বন্দরে এবার তেল এবং টায়ারের একটি গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল।
বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বৈরুত বন্দরের শুল্কমুক্ত অঞ্চলে আগুনের সূত্রপাত। এতে শহরের আকাশে বিশাল কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায়।
লেবাননের বৈরুত বন্দরে ভয়াবহ আগুনে দেশটির দমকল বাহিনী যখন পর্যুদস্ত তখন তাদের সহায়তায় এগিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। বন্দরে অবস্থান করা নৌবাহিনীর জাহাজ বিএনএস সংগ্রাম এই আগুন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
বিএনএস সংগ্রামে থাকা একটি সূত্র থেকে জানা যায়, লেবাননের ফায়ার ট্রাকগুলো আগুন নেভাতে এসে পানি সংকটে পড়েছিল। তখন বিএনএস সংগ্রাম থেকে ব্যাপকভাবে পানি সরবরাহ শুরু করা হয়। এই পানি দিয়েই চলে আগুন নেভানোর কাজ। নৌবাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় সবাই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
তবে বন্দরের ভেতরে কোনো বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করেন না। সেখানে অন্য কোনো বাংলাদেশিও ছিলেন না। মূলত সিরিয়ার শ্রমিকরাই সেখানে কাজ করেন।
সূত্রটি আরও জানান, গত মাসে বৈরুত বন্দরে যে জায়গাটিতে বিস্ফোরণ ঘটেছিল তার পাশেই আজ বৃহস্পতিবার আগুনের ঘটনাটি ঘটে। সেখান থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরেই ছিল বিএনএস সংগ্রাম। শান্তি মিশনের অংশ হিসাবে ১১০ জনসহ নৌবাহিনীর জাহাজটি বৈরুত বন্দরে অবস্থান করছে।
বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বৈরুত বন্দর কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন ছিল। পাশাপাশি চলছে আগুন নেভানোর কাজ।
এর আগে গত ৪ আগস্ট বৈরুত বন্দরের একটি গুদামে ভয়াবহ বিস্ফোরণে লন্ডভন্ড হয়ে যায় লেবাননের রাজধানী বৈরুত। এতে অন্তত ১৯০ জনের প্রাণহানি ছাড়াও আরও অনেকে আহত হন। বন্দরে কয়েক বছর ধরে অবৈধভাবে মজুত করে রাখা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের গুদামে বিস্ফোরণ ঘটলে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
সিপি