‘জ্বরও ন পরের, রিপোর্টও ন ফাইর’— হাহাকার নিয়েই মৃত্যু কাউন্সিলর প্রার্থী মুরাদের

মৃত্যুর ১৫ ঘন্টা পর এলো রিপোর্ট

রিপোর্টে এলো পজিটিভ, কিন্তু ততোক্ষণে মৃত্যুর ১৫ ঘন্টা পার। করোনা পজিটিভ রিপোর্ট দেখার ভাগ্যটুকুও হলো না চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদের প্রার্থী মো. হোসেন মুরাদের। তার আগেই করোনা উপসর্গ নিয়ে নিজ বাসায় মৃত্যুবরণ করেন ৫০ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদের। মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা আগেও সহকর্মী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ মান্নানকে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে হতাশার কথা বলেন তিনি— ‘জ্বরও ন পরের, রিপোর্টও ন ফাইর!’

বুধবার (১৩ মে) সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী মো. হোসেন মুরাদ নিজ বাড়ি উত্তর-মধ্যম হালিশহরের মুনিরনগর মুন্সিপাড়ায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান। তিন দিন আগে জ্বরে ভোগার কারণে করোনা পরীক্ষার জন্য তার নমুনা নেওয়া হয়। কিন্তু সেই রিপোর্ট আসার আগেই মারা যান আওয়ামী লীগের এই নেতা।

মারা যাওয়ার কয়েকঘন্টা আগে সহকর্মী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ মান্নানকে ফোন করে হতাশা ব্যক্ত করে এই নেতা বলেছিলেন, ‘মান্নান জ্বরও ন পরের, রিপোর্টও ন ফাইর।’ এর কয়েক ঘন্টা পর বেড়ে যায় তার শ্বাসকষ্ট। পরক্ষণেই ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে।

তার মৃত্যুর প্রায় ১৫ ঘন্টা পর বুধবার রাত ১১টার দিকে ফৌজদারহাটের করোনা পরীক্ষার ল্যাব বিআইটিআইডি থেকে নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর হোসেন মুরাদের বাড়িটি লকডাউন করে দেয় পুলিশ।

আরএ/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!