জোর করে শিশুকে বাধ্য করা হতো যৌনকাজে

পুলিশের হাতে ধরা ৫ খদ্দের

সুমি আকতার একজন প্রফেশনাল যৌনকর্মী। প্রতিদিনের মতোই গত ২৪ জুন যৌনকাজে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হতে চাইলে তার সঙ্গে বেড়াতে যেতে বায়না ধরে তার ১৪ বছর বয়সী কন্যাশিশু। এক পর্যায়ে তাকে নিয়ে যেতে হয়। সেখানে পৌঁছার পর সুমি আকতার যৌন কাজের জন্য অন্যরুমে গেলে তার কন্যাশিশুকে সামনের রুমে বসিয়ে রাখা হয়। সুমি যৌনচার শেষ করে একপর্যায়ে শিশুকে অফার দেয় যৌনকর্মের। পরে পার্লারের মালিক ডলিসহ আটক যৌনকর্মীদের সহযোগীতায় ওই শিশুকে যৌনকাজে বাধ্য করা হয়। টানা ৫ দিন ওই শিশুকে যৌনকাজ করার একপর্যায়ে সুমির সঙ্গে ঝগড়া হলে বাবার কাছে চলে যায় ওই শিশু। এরপর ওই শিশু বাবাকে বিষয়টি খুলে বললে তিনি খুলশী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর বেরিয়ে আসে এসব তথ্য।

শনিবার (৮ আগস্ট) চট্টগ্রামের খুলশী থানার ওমেন কলেজ রোড রাতে লায়ন্স চক্ষু হাসপাতালের গলি খাজা মঞ্জিল লাগজারি বিউটি পার্লার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হল সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা ঘোরামারা শহিদুল রহমানের বাড়ির রহিমা আক্তার ডলি (৪৯), রাউজানের উনসত্তরপাড়া এলাকার ইয়াসমিন আক্তার মুন্নি (৪০), পাবনা জেলার সদর থানার ৫ নম্বর ওয়ার্ড মাস্টার বাড়ির শাহজাহান করিমের ছেলে মো. শামীম উল করিম (২৮), রহিমা বেগম (ছদ্মনাম ৩৫) ও সুমি আক্তার (২৫)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে খুলশী থানার ওসি প্রণব চৌধুরী বলেন, ‘শিশুকে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করার অভিযোগে এক পুরুষসহ ৪ নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেখানে লাগজারি বিউটি পার্লারের তারা দীর্ঘদিন দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছিলো। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে কোর্টে পাঠানো হয়েছে।’

মুআ/এএইচ/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!