জেলে যেতেই হল মালিকের টাকা মারা সেই প্রতারককে, আদেশ আদালতের

মালিকের ৪০ লাখ টাকা মেরে দুটি দোকান খুলে বসা প্রতারক সেই কর্মচারীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।

চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড এলাকার প্রযুক্তিপণ্যের প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার ওয়ার্ল্ডের ৪০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে কম্পিউটার ডিবিআইটি ভিলেজ ও ফাহাদ ইলেকট্রনিক্স নামে রীতিমতো দুটি দোকান খুলে বসেন প্রতারক কর্মচারী জসিম উদ্দিন খান। সোমবার (২৩ নভেম্বর) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পঞ্চম আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক শফি উদ্দিনের আদালতে প্রতারণার এই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার (নম্বর ৩১৩/২০১৯) শুনানি হয়।

শুনানি শেষে আদালত প্রতারক কর্মচারী জসিম উদ্দিন খানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বাদিপক্ষের আইনজীবী কানু রাম শর্ম্মা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এদিনে আসামিপক্ষে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট সৈয়দ মোক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এএইচএম জিয়াউদ্দিন, এডভোকেট হাবিবুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী।

এর আগে গত ১০ নভেম্বর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সরওয়ার জাহান প্রতারক ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছিলেন।

জানা গেছে, নগরীর ইপিজেড এলাকার তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘কম্পিউটার ওয়ার্ল্ডের’ ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন প্রতারক জসিম উদ্দিন। প্রতিষ্ঠানের মালিক প্রবাসী হওয়ার কারণে মালিকের অনুপস্থিতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে ইপিজেড এলাকাতেই কম্পিউটার ডিবিআইটি ভিলেজ ও ফাহাদ ইলেকট্রনিক নামে নিজেই দুটি প্রতিষ্ঠান খুলে বসেন।

পরে অর্থ আত্মসাতের ঘটনাটি জানাজানি হলে আদালতের শরণাপন্ন হন কম্পিউটার ওয়ার্ল্ডের মালিক মোহাম্মদ আলমগীর। প্রবাসী আলমগীরের পক্ষে তার বড় ভাই মো. সামশুদ্দিন মামলার কার্যক্রম পরিচালনা করেন। পরে আদালত অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পিবিআইকে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) দায়িত্ব দেন।

প্রতিষ্ঠানের মালিকপক্ষ থেকে ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হলেও দীর্ঘ তদন্তের পর পিবিআই অভিযুক্ত কর্মচারী জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ৩৯ লাখ ২০ হাজার ৫২৯ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী কানু রাম শর্ম্মা বলেন, ‘কম্পিউটার ওয়ার্ল্ডের কর্মচারী জসিমের বিরুদ্ধে ৬৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। আদালত আমাদের অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। পিবিআই যাবতীয় তদন্ত শেষে প্রায় ৩৯ লাখ ২০ হাজার ৫২৯ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়।’

অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন লক্ষীপুর জেলার মৃত হাতেম আলী খানের ছেলে। তার বিরুদ্ধে আদালতে ৪০৮, ৪২০ ও ৫০৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!