জেটি বরাদ্দ চান শিপ হ্যান্ডেলিং অপারেটরা, সাড়া নেই বন্দরের

বহির্নোঙ্গরে মালামাল খালাস ও বোঝাই কাজে ব্যবহৃত গিয়ার ও ইক্যুইপমেন্ট যেমন গ্র্যাব, পে-লোডার, স্কেভেটর ইত্যাদি লোডিং-আনলোডিংয়ের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরের কাছে একটি জেটি স্থায়ীভাবে বরাদ্দ চেয়েছে শিপ হ্যান্ডেলিং অপারেট প্রতিষ্ঠানগুলো। এর জন্য অর্থ পরিশোধ করতেও প্রস্তুত রয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে এ বিষয়ে বার বার আবেদন করলেও সাড়া দেয়নি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক)।

সম্প্রতি একটি জেটি স্থায়ীভাবে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য চবকের পরিচালক (পরিবহন) বরাবরে একটি পত্র দিয়েছে বাংলাদেশ শিপ হ্যান্ডেলিং অ্যান্ড বার্থ অপারেটস অ্যাসোসিয়েশন।

ওই পত্রে অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান একেএম শামসুজ্জামান (রাসেল) বলেন, ‘শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটগণের প্রয়োজনীয় গিয়ার ও ইক্যুইপমেন্ট লোডিং-আনলোডিংয়ের জন্য স্থায়ীভাবে একটি জেটি বরাদ্দ দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় শিপ হ্যান্ডেলিং অপারেটরগণকে ইক্যুইপমেন্টসমূহ লোডিং-আনলোডিং কাজে যথেষ্ট সময় ও অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে এবং বহি:নোঙ্গর/কুতুবদিয়া ও অন্য বিশেষায়িত জেটিসমূহে মালামাল কাজ করতে দেরি হচ্ছে। এর ফলে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজের গত অবস্থান কাল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আমদানিকারকগণ তথা দেশ ও জাতি বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। ইতোপূর্বে আমাদের বহু আবেদনের পরও আজ পর্যন্ত সমস্যার সমাধান না হওয়াতে আমরা হতাশ।’

ওই পত্রে শিপ হ্যান্ডেলিং অপারেটরগণের প্রয়োজনীয় গিয়ার ও ইক্যুইপমেন্ট লোডিং-আনলোডিংয়ের জন্য স্থায়ীভাবে একটি জেটি বরাদ্দ এবং সাথে সাথে সমস্যার স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে যে কোন একটি জেটি ব্যবহার করার জন্য চবকের পরিচালকের (পরিবহন) অনুমতি চাওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ শিপ হ্যান্ডেলিং অ্যান্ড বার্থ অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান একেএম শামসুজ্জামান (রাসেল) চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমাদের জন্য স্থায়ীভাবে জেটি বরাদ্দ না থাকায় বহিঃনোঙ্গরে যন্ত্রপাতি নিয়ে ১-২ দিন অপেক্ষা করতে হয়। এতো দেরি হওয়ার কারণে মাদারভেসেলের ক্ষতি হয়।’

তিনি বলেন, ‘একটি জেটি স্থায়ীভাবে বরাদ্দ পেলে আমদানিকারকেরা লাভবান হবে। চট্টগ্রাম বন্দরের সুনাম বৃদ্ধি পাবে। আমরা ভাড়াতে জেটি বরাদ্দ নিতে রাজি আছি।’

এ বিষয়ে চবকের পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি কমিটি হয়েছে। কমিটি প্রতিবেদন ও প্রস্তাবনা দিয়েছে। প্রস্তাবানাটি চবকের বোর্ড সভায় তোলা হবে। বোর্ড সভায় পাস হলেই তাদেরকে জেটি বরাদ্দ দেওয়া হবে।’

এমএ/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!