জুয়েল দেবের ছোটগল্পের বই ‘সাফাই সাক্ষী’

‘দিনশেষে আমরা সবাই আত্মপক্ষ সমর্থন করতে চাই’

গল্প লিখতে গেলে অনেকরকম ব্যাকরণ অনুসরণ করতে হয়। কেউ রূপকের অলংকরণে গল্প লিখতে পছন্দ করেন, আবার কেউ তার গল্পে তৈরি করেন জাদু বাস্তবতা। জাদু বাস্তবতার গল্পে লেখক তার লেখনির মাধ্যমে পাঠককে প্রবেশ করান এক অদ্ভূত জগতে। কিন্তু লেখক জুয়েল দেব মনে করেন, মানুষের যাপনের প্রতিটি মুহূর্ত মানুষকে এতো বেশি চমক দেয়, যার ফলে মানুষের কোনো রকমের জাদুবাস্তবতার প্রয়োজন হয় না।

এবারের একুশে বইমেলায় এসেছে ‘সাফাই সাক্ষী’ শিরোনামে জুয়েল দেবের ছোটগল্পের বই। বইটি প্রকাশ করেছে অধ্যয়ন প্রকাশনী। পাওয়া যাবে তাম্রলিপি-অধ্যয়নের প্যাভিলিয়নে। বইটি প্রচ্ছদ করেছেন রাজীব দত্ত।

এ বইয়ে তিনি নয়টি গল্প উপস্থাপন করেছেন। গল্পগুলো হলো-বিপ্রতীপ, বৃক্ষ, থানার নাম কল্পনগর, যোগ বিয়োগ, জেমস বম, পরিযায়ী মানুষ, সমুদ্রের ওপারে, এক ঘোড়া এক সিপাহি, গল্প বদল।

গল্পগুলো সম্পর্কে তিনি বলেন, গল্পগুলোকে এক কথায় পাঠকের সামনে পরিবেশন করাটা অত্যন্ত কঠিন কাজ। তবু যদি সংক্ষেপে বলতে যাই, দিন শেষে আমাদের সবার কাছে আত্মপক্ষ সমর্থনে কিছু বক্তব্য থাকে। এ সমস্ত কথাগুলো নিয়েই সাজানো হয়েছে- ‘সাফাই সাক্ষী’।

বইটি প্রসঙ্গে জুয়েল দেব বলেন, ‘সাফাই সাক্ষীর একেকটা গল্প লেখার পর আমার ভেতরে তীব্র ভয় সাথে সাথে তীব্র আনন্দ কাজ করেছে। আমার কাছে মনে হয়েছে, গল্পে আমি যা বলতে চেয়েছি তা ঠিকঠাকভাবে বলতে পারিনি। আবার বুকপকেটে জমে থাকা গল্পটা বের করতে পেরেছি বলে তীব্র আনন্দে আমি ভেসে গিয়েছি। সাফাই সাক্ষী হলো- আনন্দ-বেদনার গল্প, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির গল্প।’

জুয়েল দেবের জন্ম ও বেড়ে ওঠা রাঙামাটিতে। পড়াশোনা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত আছেন। দৈনিক পত্রিকায় নিয়মিত গল্প ও গদ্য লিখছেন দীর্ঘদিন ধরে। এর আগে তার প্রকাশিত উপন্যাস- ‘চৌহদ্দি সুনির্দিষ্ট নয়’।

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!