বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় স্থানীয় বিচার ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে রাঙামাটি শহরের পর্যটন করপোরেশেনের সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রোকসানা কাদেরের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মেসবাহুল ইসলাম।
উপস্থিত ছিলেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত এইচ ই রেনজি থিউরিংক, ইউএনডিপি বাংলাদেশ আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী, চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য গৌতম চাকমা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরীসহ তিন জেলার প্রথাগত (হেডম্যান-কার্বারি) প্রতিনিধি, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মেসবাহুল ইসলাম বলেন, ‘জুডিসিয়াল বিচার ব্যবস্থার ওপর চাপ কমাতে সরকার এ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষেত্রে এখানকার প্রথাগত আইন রীতিনীতি সংস্কৃতি রক্ষার জন্য এ প্রকল্প সহায়ক হবে বলে আমরা করছি। তিন পার্বত্য জেলাসমূহে ১২১টি ইউনিয়নেই স্থানীয় সরকার বিভাগের মাধ্যমে নিজেদের অর্থায়নে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইউনিডিপির আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় আগামী চার বছর গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (দ্বিতীয়) প্রকল্পটি পরিচালিত হবে। এ আদালতের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৭০ হাজার টাকার ক্ষতি এমন বিচার কাজ করতে পারবে গ্রাম আদালত।’
তিনি বলেন, ‘সমতল এলাকায় গ্রাম আদালত যেভাবে কাজ করে পার্বত্য এলাকায় এর কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। এখানে প্রতিটি মৌজায় হেডম্যান ও কার্বারি রয়েছে যারা ইতোমধ্যে গ্রামের সমস্যাগুলো গ্রামেই সমাধানের চেষ্টা করেন। এই প্রকল্পের কার্যক্রমের মাধ্যমে বিচারিক ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটবে এবং অত্র এলাকায় গ্রামীণ জনসাধারণ কম খরচে ও স্বল্প সময়ে বিচারিক সেবা পাবে।’