সিরাজগঞ্জের কয়েরা হোরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জাহেদ প্রমাণিকের ছেলে মঞ্জুর আলম (৫০)। জীবিকার তাগিদে পরিবার ছেড়ে কয়েকশ মাইল পথ পাড়ি দিয়ে শ্রমিকের কাজে যোগ দিয়েছিলেন খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়িতে। বাড়ি ফিরলেন পরদিনই, কিন্তু লাশ হয়ে।
রোববার (১১ মে) রাত ১টার দিকে নিহতের লাশ লক্ষ্মীছড়ি থানা থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে পাঠিয়ে দেয়া হয় সিরাজগঞ্জে। লাশ বুঝে নেন চাচাতো ভাই আসাদুল ইসলাম।
ঘটনার দিন সকাল ১১টায় নিজ বাড়ি থেকে এসে কাজে যোগ দিয়েছিলেন মঞ্জুর আলম। লক্ষ্মীছড়ি থানা সংলগ্ন নির্মাণাধীণ ব্রিজের ওয়েলডিং মেশিনের কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হয়ে নির্মাণ শ্রমিক মঞ্জুর আলমের মৃত্যু হয়। শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭ টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নির্মাণ কাজের ঠিকাদারের নিজস্ব প্রকৌশলী তন্ময় আহমেদ তপু চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ওয়েলডিং মেশিনে কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তার মৃত্যু হয়।
জানা যায়, লক্ষ্মীছড়ি-মানিকছড়ি সড়কের লক্ষ্মীছড়ি থানা সংলগ্ন প্রায় ১০০ কিলোমিটার নির্মাণাধীন ব্রিজের দ্বিতীয় গার্ডারের নির্মাণ করতে ১ হাজার কিলোমিটার (২২০ ভোল্ট) জেনারেটরের মাধ্যমে ওয়েলডিংয়ের কাজ করছিল শ্রমিক মঞ্জুর আলম। এ সময় পিলার ক্রসের সময় জেনারেটরের তারে জড়িয়ে যায়। টের পেয়ে দ্রুত অন্য শ্রমিকরা উদ্ধার করে প্রথমে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত চমেক হাসপাতালে রেফার করে। পরে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে অ্যাম্বুলেন্স ফেরত আসে লক্ষ্মীছড়িতে।
লক্ষ্মীছড়ি হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আতাউর রহমান বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
লক্ষ্মীছড়ি থানার অফিসার্স ইনচার্জ আ. জব্বার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, একটি সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে। পরিবারের ইচ্ছাতেই লাশ পোস্টমর্টেম করা হয়নি।
এএইচ