জিইসি মোড়ে ছিনতাইকারীদের পালানোর পথ হল বন্ধ

ফেসবুকে পোস্ট দেখে এগিয়ে এল পুলিশ

চট্টগ্রাম নগরীর গুরুত্বপূর্ণ জিইসি মোড়ের কালভার্ট বক্সগুলো অবস্থা অনেকটাই করুণ। বিশেষ করে পথচারীদের জন্য খুবই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে কালভার্ট বক্সের খোলা ঢাকনাগুলো। এগুলো এর চেয়েও বড়ো বিপদ হয়ে উঠেছে আরও একটি কারণে। জিইসি মোড়কেন্দ্রিক মোবাইল ছিনতাইচক্রের সদস্যরা মোবাইল ছিনতাই করে কালভার্টের এসব খোলা ঢাকনা দিয়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়। প্রতিদিনই এমন কাণ্ড ঘটে অহরহ। খোলা ঢাকনা দিয়ে ড্রেনে ঢুকে গেলে তাদের পিছু ধাওয়া করেও কোনো লাভ হয় না।

রোববার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রতিদিনকার এই পরিচিত দুর্ভোগ নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন কবির মোরশেদ নামের এক তরুণ। তাতে জিইসি মোড়ের ক্যাফে মোহাম্মদীয়ার সামনের কিছু ছবিও পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লিখেছেন—
‘জিইসি মোড়ের মোবাইল চোর, ছিনতাইকারীদের পালানোর একমাত্র উপায় হলো এই ড্রেন। সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বে অবহেলায় তারা এই ড্রেনের কাভার খুলে রেখেছে আজকে বহুদিন। এই সুবাধে ছিনতাইকারীরা ছিনতাই করে দৌড়ে এই নালায় লাফ দিয়ে ঢুকে যায়। সেদিন চোর দৌড়িয়েও ধরতে পারলাম না শুধুমাত্র এই ড্রেনে লাফ দেয়ার কারণে। সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বশীল কেউ এই পোস্ট দেখে থাকলে দয়া করে এই ঢাকনাগুলো লাগিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেবেন।’

ছিনতাইকারীরা ছিনতাই করে দৌড়ে এই নালায় লাফ দিয়ে ঢুকে যায়।
ছিনতাইকারীরা ছিনতাই করে দৌড়ে এই নালায় লাফ দিয়ে ঢুকে যায়।

ফেসবুকের এই পোস্ট নজরে পড়ে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাকের। সন্ধ্যার দিকে তিনি ছিনতাইকারীদের এই চোরাপথ বন্ধ করে দেওয়ার উদ্যোগ নেন। এ সময় তার সঙ্গে যোগ দেন পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়াও। সন্ধ্যা সাতটার দিকে পুলিশ সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবী লোকজন নিয়ে তারা কাজও শুরু করে দেন। আটটা বাজতে বাজতে কালভার্ট বক্সের ঢাকনা লাগানোর কাজও হয়ে গেল শেষ।

অন্য কোথাও কালভার্ট বক্সের এরকম খোলা ঢাকনা থাকলে স্থানীয় কাউন্সিলরকে সেগুলো লাগিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়ে গেছেন উপ-কমিশনার বিজয় বসাক।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!