জিইএম প্লান্ট—বছর না ঘুরতেই ছিদ্র ৪২ লাখ টাকায় সংস্কারের টিন

চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় জিইএম (জেনারেল ইলেকট্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড) প্লান্টের চল্লিশ ফুট উচ্চতা দুটি ভবনের ছাদের টিন সংস্কার করা হয়েছিল দুই বছর আগে। ২০১৮ সালের শেষ দিকে ৪২ লাখ টাকার এ সংস্কার কাজ শুরু হয়। কাজ শেষ হয় ২০১৯ সালে। চলতি বছরের শুরুর দিকে ঠিকাদারের কাজটির জামানত ফেরতও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

কিন্তু বছর না ঘুরতেই এসব টিন ছিদ্র হয়ে তা দিয়ে ঢুকছে বৃষ্টির পানি। অনবরত বৃষ্টির পানি টিনের ছিদ্র বেয়ে ঢুকায় ব্যহত হচ্ছে জিইএম প্লান্টের বেশ কিছু সেকশনের নিয়মিত কাজকর্ম। এসব সেকশনের মেশিনারির আশপাশে পানি জমে থাকায় দীর্ঘক্ষণ শ্রমিকদের অলস বসে থাকতে হচ্ছে।

সংস্কার কাজটির ওইসময় তদারকির দায়িত্বে ছিলেন তৎকালীন জিইএম প্লান্টের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) ও বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল ইসলাম। অভিযোগ রয়েছে, কাজ না করিয়ে বিলের সংস্কারের অর্থ পকেটে ঢুকিয়েছেন তিনি।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জিইএম প্লান্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘সংস্কারের কাজটি ঠিক মতো হয়েছে। কোনো অনিয়ম হয়নি। কাজের কার্যাদেশ মোতাবেক ঠিকাদার যথাযথভাবে সংস্কার কাজটি করেছেন। সমস্যা থাকার তো কথা নয়।’

সংস্কার করার পরও ওই ভবনগুলোতে টিনের ছিদ্র দিয়ে বৃষ্টির পানি ঢুকছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের অভিযোগ আমার জানা নেই।’

জানা যায়, ২০১৮ সালের দরপত্রের মাধ্যমে দুইটির ভবনের ছাদের জরাজীর্ণ টিন সংস্কারের বরাদ্দ দেওয়া হয় ৪২ লাখ টাকা। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে কাজটি পায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এসএ ট্রের্ডাস। সংস্কার করা হয় প্রোডাকশন ও মেইন বিল্ডিংয়ের জিরো-এ, জিরো-বি, ১৫ নম্বর সেকশন।

তবে কাজের তালিকায় থাকলেও ১৮-১৯ নম্বর সেকশন ভবনটির ছাদে কোনো টিন লাগানো হয়নি। দুইটি ভবনই নিচ থেকে উপরের দূরত্ব প্রায় ৪০ ফুট। ভবন দুটির উপরে টিনের ছাদে ওঠে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এদিকে সংস্কার কাজ না করে কাজের বিল উঠানো নিয়ে নানা সমালোচনা করেছেন সেখানকার বেশ কয়েকজন সিবিএ নেতা।

অভিযোগ করে তারা বলেন, ‘জিইএম প্লান্টের মেইন ও প্রোডাকশন বিল্ডিংয়ে যথাযথভাবে সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়নি। ঠিকাদারকে ম্যানেজ করে কাজ না করিয়ে টাকা তুলে নেয়া হয়। ওই সময় এ কাজটির জিএম হিসেবে বর্তমান এমডি তদারকির দায়িত্বে ছিলেন।’

কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm