‘জালিয়াতি’ করে উত্তীর্ণ হওয়া আশিক পেলেন আইন, ফরহাদ অর্থনীতি

জালিয়াতি করে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো দেশসেরা একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। শুধু তাই নয়, উল্টো তাদেরকে ভর্তি হওয়ার জন্য পছন্দক্রম অনুযায়ী বিভাগ দেয়া হয়েছে।

গত ১ ডিসেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে খবর আসে চবির ডি ইউনিটে জালিয়াতির মাধ্যমে দুইজন উত্তীর্ণ হয়েছে। এদের মধ্যে একজন মেধা তালিকায় ৭৯তম ও অপরজন ২৪৯তম হয়েছেন।

জাবির প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি করে উত্তীর্ণ হওয়া এক ভর্তি-ইচ্ছুককে আটক করার পর তাঁর জবানবন্দিতে এই তথ্য বেরিয়ে আসে। কিন্তু এ ঘটনার দুই সপ্তাহ পার হতে চললেও এখনও পর্যন্ত অভিযোগ তদন্তে কোনো কমিটি গঠন করা হয়নি।

জানা যায়, রোববার (১২ ডিসেম্বর) রাতে প্রকাশিত হওয়া ডি ইউনিটের বিভাগ বন্টনের ১ম তালিকায় তাদের নাম রয়েছে। এর মধ্যে ডি ইউনিটে ৭৯তম হওয়া (রোল ৪৪১৩৬৭) মো. আশিক হোসাইন পেয়েছেন আইন বিভাগ। আর ২৪৯তম হওয়া (রোল ৪১৬২৩১) মো. ফরহাদ হোসাইন পেয়েছেন অর্থনীতি বিভাগ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডি ইউনিটের কো-অর্ডিনেটর ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, বিষয়টি কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটিকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত দেবেন।

তবে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভাপতি ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারকে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ও আইন বিভাগের অধ্যাপক জাকির হোসাইন বলেন- ‘এমসিকিউ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা পুরোপুরি জালিয়াতি মুক্ত নয়। এটা যে শুধু আমাদের এখানে ধরা পড়ছে তা নয়, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ধরা পড়ছে। একটা সংঘবদ্ধ জালিয়াত চক্র এই কাজটি করে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন- ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জালিয়াতির ঘটনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের যে তথ্য দিয়েছে, এটা কিভাবে ঘটলো, আরও ঘটেছে কিনা এসব বিষয়ে বিশদভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা উচিত। যাদের নাম এসেছে তাদের নিয়ে আমাদের প্রক্টরিয়াল বডি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সম্মিলিতভাবে কাজ করা উচিৎ। আরও যদি কারো নাম এসে থাকে তাদের ভর্তি বাতিল করা হোক।’

এমআইটি/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!