চট্টগ্রামে গত বছর দুর্গাপূজায় হামলার ঘটনায় যেসব আসামি জামিনে আছেন তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযোগপত্র দিতে বলেছেন নগর পুলিশ কমিশনার (সিএমপি) কৃষ্ণ পদ রায়।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরীর জেএম সেন হল প্রাঙ্গণ পরিদর্শনে গিয়ে একথা বলেন সিএমপি পুলিশ কমিশনার।
সিএমপি কমিশনার জানান, গত বছর হামলার ঘটনায় জড়িতদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। কেউ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার পাঁয়তারা করলে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। দুটি বিষয় সামনে রেখে আমরা নিরাপত্তা বলয় নিয়ে কাজ করি। যার একটি শৃঙ্খলা। শৃঙ্খলা ব্যবস্থা যত ভালো হয়, নিরাপত্তা দেওয়া তত সহজ। শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যরা পুলিশের সঙ্গে কাজ করবে। সবার উপস্থিতিতে সর্বজনীন এ উৎসব সর্বজনীন নিরাপত্তায় শেষ করতে চাই।
তিনি আরও জানান, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার প্রস্তুতি রয়েছে পুলিশ। প্রতিটি মণ্ডপের পূজা কমিটিকে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী নিয়োগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আগামী শনিবার (১ অক্টোবর) দেবী দুর্গার বোধনের মধ্যদিয়ে শুরু হবে বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। চট্টগ্রাম নগরীতে এই বছর ২৬৬টি মণ্ডপে পূজা হচ্ছে। পূজামণ্ডপে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপে পোশাকধারি পুলিশের সঙ্গে সাদা পোশাকের সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবে। পাশাপাশি স্ট্যান্ডবাই হিসেবে প্রস্তুত থাকবে সোয়াট।
এবার প্রতিমা বিসর্জনের দিন পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতসহ ৯টি স্থানে আলাদাভাবে নিরাপত্তা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এদিন সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন শেষ করার অনুরোধ জানান সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপকমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত উপ কমিশনার (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা, কোতোয়ালী জোনের সহকারী কমিশনার মুজাহিদুল ইসলাম, কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবীর এবং মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি আশীষ ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক শ্রীপ্রকাশ দাশ অসিত।
২০২১ সালের ১৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীর দিন জেএম সেন হল পূজামণ্ডপ হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ৮ ঘণ্টার মধ্যে ৭৬ জনকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়।
এমএ/ডিজে