জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে হেফাজত ও সরকারের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টিতে বাবুনগরীর পদত্যাগ

জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে হেফাজত ও সরকারের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টিতে বাবুনগরীর পদত্যাগ 1হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির ও বেফাক সহসভাপতির পদ থেকে আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর পদত্যাগ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন কওমী সনদ বাস্তবায়ন পরিষদ বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ। যৗথ বিবৃতিতে কওমী ওলামায়ে কেরামদের মাঝে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। তারা এ পদত্যাগকে সরকার বিরোধী আন্দোলন চাঙ্গা করতে এবং কওমী মাদ্রাসার আলেম ওলামাদের সাথে সরকারের দূরত্ব সৃষ্টির লক্ষে নেপথ্যে জামায়াত এ ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন।

বিবৃতিতে তারা বলেছেন, কওমী মাদ্রাসা ভিত্তিক অরাজনৈতিক সংগঠনের দাবীর প্রেক্ষিতে সরকার কওমী মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাষ্টার্স মানে উন্নিত করাকে কওমী মাদরাসা ভিত্তিক দল ও সংগঠনে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। আর এ এ বিভক্তির নেপথ্যে রয়েছে যুদ্ধ অপরাধী ও স্বাধিনতা বিরোধী শক্তি হরকাতুল জেহাদ। এ দুটি পরাজিত শক্তি সরকার বিরোধী আন্দোলন বাস্তবায়নের দূরবিষন্ধি পরিকল্পনা হাতে নিয়ে কওমী মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষকদের দিয়ে আন্দোলন চাঙ্গা করতে বয়োবৃদ্ধ বর্ষিয়ান আলেম কে কৌশলে ব্যবহার করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এক সময়ের কট্টর আওয়ামী বিরোধী এ আলেম বি,এন,পি দলের রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকলেও সময়ে তিনি যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ থেকে রেহায় পায়নি। তাদের সাথে সখ্যতার কারনে তিনি যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন কাদেরের জানাজায় ইমামতির দায়িত্বও পান। তারই ধারাবাহিকতায় সরকার বিরোধী আন্দোলন চাঙ্গা করতে এবং কওমী মাদ্রাসার আলেম ওলামাদের সাথে সরকারের দূরত্ব সৃষ্টির লক্ষে নেপথ্যে জামায়াত এ ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন।
নেতৃবৃন্দ আরোও বলেন, বাবুনগরী প্রথম ধাপে হেফাজত বেফাক ঐক্যজোট থেকে পদত্যাগ করে কওমী আলেম ওলামদের আস্থা অর্জন করতে চায় এবং সর্বজন শ্রদ্ধেয় শীর্ষ আলেম আল্লামা আহমদ শফি কে বিতর্কিত করে কওমী আলেমদের মধ্যে বিভক্তি তৈরী করে মূলত জামায়াতি এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়। জামাত এ মিশনে অনেকটা সফলও হয়েছে। এ মিশন পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে তার (মুহিব্বুল্লাহ) মেয়ের জামাই জামায়াতের রুকন হাবিবুল্লাহ আজাদী এবং মাষ্টার আহসানুল্লাহ নামে জামায়াতের একবিশ্বস্ত সোর্স। যিনি হেফাজতের আন্দোলনের সময়ে বাংলাদেশের একটি নাম করা গোয়েন্দা বাহিনীর এজেন্ট হিসাবে আল্লামা আহমদ শফি’র আশে পাশে থেকে নিত্য খবরাখবর সাপ্লাই দিতেন। এমনকি এ মিশন এগিয়ে নিতে উঠেপড়ে লেগেছে ৬৪ জেলায় একযোগে সিরিজ বোমা হামলা কারীদের অন্যতম মীর ইদ্রিস ও হরকাতুল জেহাদের চট্টগ্রাম জেলা কমান্ডার গোলাম রাব্বানী নাজির হাট, মীর ইদ্রিস হরকাতুল জেহাদ ও জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা কারী হিসাবে এক সময় বান্দরবন সীমান্ত থেকে জঙ্গি ট্রেনিংরত অবস্থায় বিডিআর এর হাতে গ্রেফতার হয়ে অনেক দিন দেশের বিভিন্ন জেলার কারগারে গ্রেফতার ছিলেন।
জানাযায়, গত ৩ অক্টোবর আল্লামা মহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর জামাই হাবিবুল্লাহ আজাদী তার শশুর মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীকে ফটিকছড়ি আজাদী বাজার তার মাদ্রাসায় দাওয়াত দিয়ে সেখানে জামাতের পলসী মেকার পর্যায়ে কিছু নেতাসহ দাওয়াত দিয়ে মহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সাথে বৈঠকের ব্যবস্থা করিয়ে দেন ঐ বৈঠক থেকে সমস্থ প্লেনিং চুড়ান্ত করা হয় এবং প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে হেফাজত বেফাক ও ঐক্যজোট থেকে পদত্যাগ এবং আল্লামা আহমদ শফিকে গালীগালাজ করে তার উপর থেকে মানুষের আস্তা নষ্ট করার মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার নীলনকশা ঠিক করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত চট্টগ্রাম মহানগর পর্যায়ের এক জামাতের নেতা বলেন হুজুর আপনার আব্বা কত বড় বুজুর্গ আলেম ছিলেন। তিনি কখনো আওয়ামী লীগ সমর্থন করেননি আর বর্তমান আলেমদেরকে আহমদ শফি টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে খাচ্ছে। আপনি বাবার সৎ ছেলে হিসাবে সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে আহমদ শফির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। আমরা যা যা ব্যবস্থা করার অবশ্যই করব। ফটিকছড়ি আজাদী বাজার এলাকায় বৈঠকে গোলাম রব্বানী ও আহসান উল্যাহসহ উপস্থিত ছিলেন কওমী ঘরানার ঐক্য বিনষ্ট করে এবং কওমী ৭ সদস্য সনদের বিরোধীতা কারী হিসাবে পরিচিত জামাত শিবিরের দূরবির্ষন্ধি এ পরিকল্পনা জনসমূখে ফাঁস হওয়ার পর হাব্বিুল্লাহ আজাদীর সাথে বিভিন্ন স্যোসাল মিডিয়া সহ সংবাদকর্মীরা যোগাযোগ করলে তার সোজা ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এব্যাপারে হেফাজতের দায়িত্বশীল এক নেতার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমরা পরিস্থিতি র্পর্যবেক্ষণ করছি। আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ সাহেবের খবর আমরা পেয়েছি তা তার কোন পদত্যাগ পত্র হেফাজত আমির বা মহাসচিব পায় নাই আমরা এব্যাপারে দুঃখিত।

বিবৃতি দাতারা হলেন, আল্লামা মনিরুল ইসলাম হোসানী, আল্লামা আবদুস সালাম, আল্লামা হোসাইন আহমদ, আল্লামা করিব হোসাইন, আল্লামা ছলিমউল্যাহ, আল্লামা ইয়াছিন হাবিব, আল্লামা সাজ্জাদ কাশেমী, আল্লামা আবদুল মালেক আফেন্দী, আল্লামা আতাউল্লাহ, মৌলানা আজিজুল হক, মৌলানা ফখরুল ইসলাম, মৌলানা শহিদ উদ্দিন, মৌলানা মাহাবুবুর রহমান, মৌলানা আহমদুল হক, মৌলানা আবু ওয়াক্কাশ প্রমুখ।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!