জামালখানে মানুষকে দুর্দশায় ফেলে সড়কের ওপর ‘উৎসব’, তিন রাস্তায় দীর্ঘ যানজট
সড়কে মঞ্চ, রাতে আবার গান— পুলিশ কিছু জানেই না
সড়ক বন্ধ করে বসন্ত উৎসব ও ভালোবাসা দিবস পালন হচ্ছে চট্টগ্রাম নগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা জামালখান মোড়ে। রাস্তার ওপর বানানো হয়েছে মঞ্চ। ফুটপাত দখল করে বসানো হয়েছে কাপড়ের দোকান। এর ফলে সকাল থেকেই স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও পথচারীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তিনটি ব্যস্ত রাস্তায় তৈরি হয়েছে দীর্ঘ যানজট।
জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনের নেতৃত্বেই হচ্ছে জনদুর্ভোগের এসব আয়োজন।
গণমানুষের দুর্ভোগ হয় এমন অনুষ্ঠানের অনুমতি কিভাবে মিলছে— এমন প্রশ্ন ভুক্তভোগীদের।
সাধারণত এই ধরনের অনুষ্ঠানের জন্য নগর পুলিশের বিশেষ শাখা সিটিএসবির অনুমোদন নিতে হয়। সিটিএসবি যাচাই-বাচাই করে অনুমোদন দেয়।
তবে সিটিএসবি চট্টগ্রামের উপ-পুলিশ কমিশনার মনজুর মোরশেদ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে স্পষ্ট করেই বলেছেন, ‘সড়কের ওপর মঞ্চ করার অনুমোদন দেওয়া হয়নি। জনদুর্ভোগ হয়— এমন অনুষ্ঠানের অনুমোদনও দেওয়া হয়নি।’
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জামালখান মোড়ে খাস্তগীর স্কুলের সামনে সড়কে বানানো হয়েছে গানের মঞ্চ। খাস্তগীর স্কুল ও চিটাগাং সিনিয়রস ক্লাবের সামনের ফুটপাত দখল করে বসানো হয়েছে ১০টিরও বেশি দোকান। এসব কারণে ওই সড়কে গাড়িচলাচল অনেকটাই বন্ধ হয়ে পড়ে।
একই সময়ে জামালখান মোড় থেকে চকবাজার, কাজির দেউড়ি ও চেরাগী পাহাড় যাওয়ার এই তিন সড়কে দেখা গেছে দীর্ঘ যানজট। এতে অসহনীয় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এসব সড়কের যাত্রীদের।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে গানের আসরের আয়োজন করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এতে জনভোগান্তি আরও দীর্ঘ হচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছেন, ব্যস্ত সড়ক দখল করে এই ধরনের অনুষ্ঠান প্রায়ই হয়ে আসছে জামালখানে। এতে দুর্ভোগে পড়তে হয় নগরবাসীর। এসব দেখার কেউ নেই।
তারা বলছেন, অনুষ্ঠান করার জন্য মাঠ আছে, সেখানে করা যায়। এছাড়া শুধু উৎসবের জন্য অনুষ্ঠান হলে দোকান বসানোর কোনো মানে নেই।
নেজাম উদ্দিন নামের এক মোটরসাইকেলচালক বলেন, কাজির দেউড়ি থেকে চেরাগী পাহাড় যেতে সময় লাগে সর্বোচ্চ পাঁচ মিনিট। আজকে যেতে লেগেছে ৫০ মিনিট।
এ বিষয়ে জানতে কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনের মোবাইলে কল দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, ‘আমি কাজির দেউড়ির বই মেলায় আছি। ওখানে কী হচ্ছে সেটা না দেখে কিছু বলতে পারবো না।’
আরএম/সিপি