চট্টগ্রাম নগরীর জামালখানের আজাদী গলির পেছনে ছুরিকাঘাতে নিহত ছাত্রলীগ নেতা আসকার বিন তারেক হত্যা মামলায় আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পটিয়া থানা এলাকা থেকে রাতে শ্রাবন দে (২০) নামে ওই আসামীকে আটক করে। শ্রাবন আসকার বিন তারেক হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বলে জানায় পুলিশ। শ্রাবনসহ তারেক হত্যা মামলায় পুলিশ মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
আটক শ্রাবন পটিয়া থানার করনখাইন এলাকার সাধুর বাড়ির মৃত অজিত দের ছেলে। তবে তারা বর্তমানে নগরীর কোতয়ালী থানার রাজাপুকুর লেইন এলাকায় থাকে।
জানা যায়, তারেককে হত্যার পর গ্রেপ্তার এড়াতে ভারত পালিয়ে যায় শ্রাবন। দীর্ঘদিন ভারতে আত্মগোপনে থেকে কয়েকদিন আগে দেশে আসেন তিনি। কিন্তু দেশে এসেই আটক হন পুলিশের হাতে।
শ্রাবনকে গ্রেপ্তারের অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) রুবেল হাওলাদার চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা আসকার বিন তারেক হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি শ্রাবন। কিন্তু সে ঘটনার পর পালিয়ে ভারত চলে যায়। আমরাও নিয়মিত তার খোঁজ নিতে থাকি। কিছুদিন আগে সে ভারত থেকে এসেছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা পটিয়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করি।’
শ্রাবনকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান আছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, গতবছরের ২২ এপ্রিল সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্ধে জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনের অনুসারী শৈবাল দাশের সঙ্গে নগর ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক সাব্বির সাদিকের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই সংঘর্ষে জামালখান ওয়ার্ড ছাত্রলীগের পাল্টা কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক আসকার বিন তারেককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
ঘটনার পর নিহতের পরিবার নগরীর কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, সেই মামলায় শ্রাবনসহ সর্বমোট সাতজনকে আটক করে পুলিশ।
বিএস/এমএফও