জাতীয় পার্টির নেতা ও সংসদ সদস্য অধ্যাপক মাসুদা এম রশিদ চৌধুরী (৭০) মারা গেছেন।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে তিনটার দিকে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মাসুদা নানা শারীরিক জটিলতায় আক্রান্ত ছিলেন। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
মাসুদা এম রশীদ চৌধুরী ১৯৫১ সালের ২২ জুলাই চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আবুল মনসুর ও মায়ের নাম মৌসুফা মনসুর। তার স্বামী অ্যাডভোকেট এ বি এম ফজলে রশীদ চৌধুরী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক মাসুদা একাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনে আইনপ্রণেতা হিসেবে সংসদে বসেন। তিনি জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন।
সোমবার জোহর নামাজের পর মগবাজারে তার নিজ বাসভবনে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে আছরের নামাজের পর রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয় চত্বরে মাসুদা এম রশিদ চৌধুরীর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম নগরীর লালদিঘী মাঠে জোহরের নামাজের পর তৃতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। একইদিন বিকেলে আছরের নামাজের পর রাউজানের গহিরা গ্রামে চতুর্থ জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে।
এদিকে দলীয় সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করে জাপা চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘মাসুদা এম রশিদ চৌধুরী এমপি একজন ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি অন্তত সৎ আদর্শবান বিনয়ী সদালাপী নেত্রী ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জাতীয় পার্টির বিভিন্ন পদে বলিষ্ঠ নেতৃত্বের অবদান রেখেছেন। তার মৃত্যুতে জাতীয় পার্টির অপূরণীয় ক্ষতি হলো।
সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ অপর এক শোক বার্তায় বলেন, ‘অধ্যাপিকা মাসুদা এম রশিদ চৌধুরী ছিলেন সদালাপী ও বিনয়ী। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জাতীয় পার্টির বিভিন্ন পদে বলিষ্ঠ নেতৃত্বের অবদান রেখেছেন। তার মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গণে অপূরনীয় ক্ষতি হলো, যা সহসা পূরণ হওয়ার নয়।’
পৃথক বার্তায় দলের মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এবং সংসদে বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা শোকপ্রকাশ করেন।