জমি বিরোধের জেরে পেকুয়ায় খামারে ভাংচুর, নারী আহত

কক্সবাজারের পেকুয়ায় জমি বিরোধের জেরে একটি ফার্ম ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। এতে বাঁধা দিতে গিয়ে রোকেয়া বেগম (৩৫) নামের এক নারী মারধরের শিকার হয়েছেন।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের কাদিমাকাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত রোকেয়া বেগম পেকুয়া সদরের উত্তর গোয়াখালী শামসুল আলমের স্ত্রী।

আহতের ছেলে সরওয়ার বলেন, দীর্ঘ সাত বছর আগে কাদিমাকাটা এলাকায় আমার নানার বাড়ির পাশে জমি কিনে ঘর তৈরি করি। পরে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে আমি একটি মুরগির খামার গড়ে তুলি। খামারের মুনাফা দিয়ে একই এলাকার ছৈয়দ ও রেজিয়ার কাছ থেকে আমি ২৪ ফুট জায়গা ক্রয় করি। এ জায়গা আমি দীর্ঘদিন ভোগদখল করে আসছি। আমার সচ্ছলতা দেখে একই এলাকার জসিম, নুরুল ইসলাম, জয়নাল, আজম, জুনাইদ, বাবুল, আলমগীর, রেহেনা, নাছিমা ও মরজিনাসহ কিছু অসাধু ব্যক্তি লোলুপ দৃষ্টি দেয়। জমিটি প্রতিনিয়ত জোরপূর্বক দখল করে নিতে চেষ্টা করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত রোববার তারা আমার বোন রোজিনা আক্তারকে সংঘবদ্ধভাবে কুপিয়ে জখম করে। ওই ঘটনায় আমরা চকরিয়া সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার সকালে আমার পরিবারের উপর ফের হামলা চালানো হয়। এ সময় আমার মাকে পিঠিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। তাকে উদ্ধার করতে গেলে আমাকেও অস্ত্র ধরে জিম্মি করে রাখে হামলাকারী। পরে হামলাকারীদের ধাক্কা দিয়ে আমি নদী সাতরে প্রাণে বেঁচে আসি। এ সময় তারা আমার খামারে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। তারা ঘরে থাকা মুরগি বিক্রির ৫৫ হাজার টাকা ও জমির সংক্রান্ত তিনটি লিখিত স্ট্যাম্পসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লুট করে নিয়ে যায়। বর্তমানে তারা আমাদের বাড়িতেও তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। এছাড়া আমাদেরকে প্রাণ মারার হুমকি ও বাড়িতে ফিরে যেতে বাঁধা দিচ্ছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত জসিম বলেন, গত রোববার আমাদের সঙ্গে কোনো ঘটনা ঘটেনি। কাউকে আঘাত করা তো দূরের কথা। বরং আমরা পরে জানতে পেরেছি তারা নিজেই নিজেদের আঘাত করে মিথ্যা মামলা দায়েরের পায়তারা করছে। বুধবার সকালেও আমরা সবাই যে যার কর্মব্যস্ততায় ছিলাম। হামলার ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাদের জমি দখলে নিতে তারা এসব কূটকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে।

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল আজম বলেন, ‘জমির বিরোধ নিয়ে হামলার বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!