চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউনিয়নের বাঁশখালা গ্রামের শীলপাড়ায় জায়গা জমির বিরোধের জেরে হামলায় আহত বিরকন চরণ শীল (৭৫) নামের এক বৃদ্ধ ৩৬ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন।
এছাড়া হামলায় বিরকন শীলের ছেলে রাজীব শীল পা ভেঙে পঙ্গু হয়ে গেছেন।
সোমবার (৬ মার্চ) সকাল ৮টায় বিরকন চরণ শীল চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাড়িতে মারা যান। তার লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পারিবারিক শ্মশানে সন্ধ্যায় দাহ করা হয়েছে।
অপরদিকে অভিযোগ ওঠেছে হামলার পর পর দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি সৌদিপ্রবাসী শিবু শীলের ছেলে নিউটন শীল বিদেশে যাবার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে।
সোমবার সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, বিরকন চরণ শীলের সঙ্গে জায়গা-জমি নিয়ে প্রতিবেশী সৌদিপ্রবাসী শিবু শীল এবং তার ভাই মিন্টু শীলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গত ২৯ জানুয়ারি দুপুরে বিরকন চরণ শীল ও তার ছেলে রাজীব শীল জমির পরিমাপ করছিলেন। এই খবর পেয়ে শিবু শীলের ছেলে নিউটন শীল ও অন্যরা ঘর থেকে ক্রিকেট খেলার ব্যাট এনে অতর্কিতভাবে বিরকন শীলের মাথায় উপর্যপুরি আঘাত করে। গুরুতর আহত হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।
দারিদ্র্যতার কারণে আহত বাবা-ছেলে সপ্তাহ পর পর চট্টগ্রাম মেডিকেলে আসা-যাওয়া করে চিকিৎসা চালিয়ে আসছিলেন। এই ব্যাপারে রাজীব শীল বাদি হয়ে নিউটন শীল, তার চাচা মিন্টু শীল, মা মীরা রাণী শীল, কাকি পুস্প রাণী শীলকে আসামি করে মামলা করেছিল।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মুজিবুর রহমান বলেন, ‘হামলার পর মামলা হয়েছে। দু’জন জামিনে আছেন। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পূর্বের মামলায় আজকের মৃত্যুর বিষয়টি উপস্থাপন হবে।’
মামলার বাদি রাজীব শীল বলেন, ‘খুনিরা অর্থশালী হওয়ায় প্রকাশ্যে ঘুরছে। আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে মামলা উঠিয়ে নিতে। প্রধান আসামি নিউটন শীল বিদেশে পালিয়ে যাবার জন্য যাবতীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করেছে। আমি পঙ্গু হয়ে পা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছি।’
ডিজে