প্রতিদিন রিপোর্ট :
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় আনসার সদস্যদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে আলী আকবর নামে এক যুবকের। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো দুজন। নিহত আলী উপজেলার বড় দীঘির পাড় এলাকার কোরবান আলী সওদাগরের ছেলে। ওই এলাকায় একটি মুদি দোকানের ব্যবসা করতেন তিনি।
মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার চৌধুরীহাটের পশ্চিমে ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের সেকান্দর কলোনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ মো. ইলিয়াছ ও যুবরাজকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে এবং নিহত আকবরের মৃতদেহ চমেক হাসপাতালের মর্গে রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
হাটহাজারী থানার ওসি বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেন, ওই কলোনির লোকজন রাতের বেলা তাস খেলার সময় আনসার সদস্যদের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। এরপর লোকজন জড়ো হয়ে ক্যাম্পের দিকে আসছে দেখে আনসার সদস্যরা গুলি করে। আনসার সদস্যদের ছোড়া গুলি আকবর বুকে লাগলে তিনি গুরতর অহত হন। এরপর রাত সাড়ে ১০টার দিকে আকবরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হেলাল ও রমজান নামে দুইজনকে আটক করে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে বলে জানান ওসি।
স্থানীয়রা জানায়, সেকান্দর কলোনিতে এস আলম সিটিতে জায়গা দখল-বেদখলকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সঙ্গে এস আলম গ্রুপের বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে রাতে এলাকার জায়গার মালিকানা দাবিদাররা সেখানে গেলে আনসার সদস্যরা প্রথমে বাধা দেয়। এবং পরে গুলি চালায়। এতে আলী আকবর নিহত ও অপর দুজন গুলিবিদ্ধ হয়।
তবে নিহতের বাবা কোরবান আলী অভিযোগ করে বলেন, কলোনির বস্তি থেকে মোবাইল চুরির অভিযোগে দুই যুবককে ধরে নেয়ার পর তার প্রতিবাদ করতে গেলে জনতার ওপর ওই গুলি চালায় আনসার সদস্যরা। এ সময় আকবর ওই এলাকায় তাদের মালিকানাধীন মুদির দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। আনসার সদস্যদের ছোড়া গুলি আমার ছেলের বুকে লাগে বলে দাবি করে তার বাবা।
রিপোর্ট : রাজীব সেন প্রিন্স
এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::