পিএইচপি ফ্যামিলির একজন কর্মীর শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানা এলাকার কুমিরায় অবস্থিত পিএইচপির একটি ফ্যাক্টরি লকডাউন করা হয়েছে। সাধারণ ছুটিতেও চালু থাকা ওই ফ্যাক্টরিতে করোনা শনাক্ত ব্যক্তি ফোরম্যান হিসেবে কাজ করেন বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন মোল্লা চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘একজন স্টাফের শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ায় বড় কুমিরা এলাকায় অবস্থিত পিএইচপির একটি ফ্যাক্টরি লকডাউন করা হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তি ফোরম্যান হিসেবে কর্মরত। পাশাপাশি তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদেরও হোম কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নেতৃত্বে লকডাউনে যাওয়া টিম ওই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রায় দেড়শ শ্রমিক ও কর্মচারীকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বুধবার (৬ মে) চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস পরীক্ষার প্রধান পরীক্ষাগার ফৌজদারহাটের ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ১১ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। এর মধ্যে দুইজনই সীতাকুণ্ডের।
অপরজন ছলিমপুর ইউনিয়ের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। পেশায় সবজি ব্যাবসায়ী এই ব্যক্তি কালুশাহ নগর এলাকার তজু আহমদের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। তার সংস্পর্শে আসা ৬ পরিবার ৩৩ সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
এর আগে একই দিন দুপুরে চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় চট্টগ্রামের নতুন করে ১৩ জনের করোনা পজিটিভ আসে। তাদের একজন ব্র্যাকের যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সীতাকুণ্ড উপজেলা ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি পৌর সদরের আমিরাবাদ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। তার সংস্পর্শে আসা ৩০ পরিবারের ১২৮ সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, এ নিয়ে সীতাকুণ্ডে মোট ৭ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
এফএম/সিপি