মঙ্গলবার, বেলা সাড়ে ১১টা। মা জয়া দত্ত ভিজা কাপড় শুকাতে ভবনের তিনতলার ছাদে উঠেন। পিছু পিছু উঠে আড়াই বছরের বাঁধনও। মায়ের নেওয়া কাপড়ের বালতি দিয়ে চলে তার খেলাধুলা। একপর্যায়ে বালতির ভেতরে লুকিয়ে যায় বাঁধন।
মা পেছন ফিরে ছেলেকে না দেখে মনে করে ছাদ থেকে নেমে গেছে সে। পরে আশপাশের মানুষের চিৎকার চেঁচামেচির শব্দ শুনে নিচে তাকিয়ে তিনি দেখেন তার আদরের বাঁধন সাড়াশব্দহীন শুয়ে আছে।
ছাদ থেকে পড়ার কারণে পা ভাঙা গেছে তার। মাথায় রক্ত জমাট বেধে গেছে। মগজও থেতলে গিয়েছে।
হাসপাতালে গুরুতর আহত ছেলের পাশে বসে মর্মান্তিক এই ঘটনার বর্ণনা দেন বাঁধনের বাবা মধু দত্ত।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার (২৪ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গা চড়িহালদা এলাকার তিন তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে মারাত্মকভাবে আহত হয় শিশু বাঁধন। তাকে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে সিট খালি না থাকায় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় বাঁধনকে।
কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, এত উঁচু থেকে পড়ার কারণে শিশুটি পা এবং মাথায় ভীষণভাবে আঘাত পেয়েছে এবং মাথাই রক্ত জমাট বেধে গেছে। মগজও থেতলে গিয়েছে। তাকে ৪৮ ঘণ্টার জন্য সার্জিস্কোপ রাখা হলেও অর্থের অভাবে সঠিক চিকিৎসার ব্যাঘাত হচ্ছে।
শিশু বাঁধনকে সুস্থ জীবনে ফিরে আনার জন্য বাবা মধু দত্ত মানুষকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া জন্য অনুরোধ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি ইপিজেডে খুবই সামান্য বেতনে চাকরি করি। হঠাৎ করে ছেলের এমন বিপদে আমি দিশেহারা। একদিনের মধ্যে ছেলের অবস্থা খারাপের দিকেই আছে। অনেক টাকার প্রয়োজন। আমার ছেলের জন্য বিত্তবানরা সাহায্যের হাত বাড়ালে সে বেঁচে যেতে পারে। আমার বিকাশ নাম্বার ০১৬৪৭১১৭৮৭৭।
আরএ/এমএফও