হঠাৎ এমন মৃত্যুর সংবাদ মেনে নিতে পারছেন না কেউ। তাঁর ৫ বছর বয়সী একমাত্র পুত্র সন্তানও হতবাক। ফ্যাল ফ্যাল চোখে তাকিয়ে আছে বাবার মরদেহের দিকে। ছোট্ট শিশুটিকে কী বলবে, কী বলা উচিত উপস্থিত কারও জানা নেই। একটু আগেও যেখানে আনন্দ হৈ হুল্লোড়, প্রাণের উচ্ছ্বাস ছিল। আচমকা সবকিছু থমকে গেছে। সবাই যেন পাথর বনে গেলেন।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম বাঁশখালীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাথরিয়া বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তীর দ্বিতীয় দিনে স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় স্কুলটির প্রাক্তন ছাত্র রেজাউল করিম তালুকদার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। তাঁর এই মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে বাঁশখালীজুড়ে।
রেজাউলের সহপাঠীরা জানান, স্বপরিবারে ঢাকায় থাকতো রোজউল। ছোটবেলার বন্ধুদের সাথে প্রাক্তন স্কুলের সুবর্ণ জয়ন্তীর ২ দিনব্যাপী অনুষ্ঠাতে যোগ দিতে দু’দিন আগে বাঁশখালী আসেন তিনি। শুক্রবার অনুষ্ঠানের প্রথমদিনে ছোটবেলার বন্ধুদের সাথেই মেতে উঠেন উৎসবে। যোগ দিয়েছিলেন আজকে স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে। কিন্তু শনিবারের অনুষ্ঠানে ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখতে গিয়ে হঠাৎ চেয়ারে বসে পড়েন তিনি। মুহূর্তেই জ্ঞান হারিয়ে নিষ্প্রভ হয়ে যায় বক্তব্যরত প্রাণোচ্ছল প্রাণটি। এরপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নিকটস্থ একটি হাসপাতালে। কিন্তু পথ্যিমধ্যেই তার মৃত্যু হয়।
কাথরিয়া বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও সিনিয়র সাংবাদিক কেএম জহুরুল ইসলাম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, পেশায় ব্যবসায়ী রেজাউল তার পরিচিত মহলে জনপ্রিয় ছিল। তার মৃত্যু অনুষ্ঠানে বিষাদের ছায়া এঁকে দেয়।
উল্লেখ্য, বাঁশখালীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাথরিয়া বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় এই অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেছিলেন স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও চট্টগ্রাম আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট মাহবুব উদ্দীন চৌধুরী।
এএ/এসএ