চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা রাজু হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহিনুর হোসেন শাহীনকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে তাকে নগরীর অলংকার মোড় থেকে র্যাব গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার মো. শাহীন হোসেন শাহীন (৪০) জোরারগঞ্জ থানার মধ্যম সোনাপাহাড়ের সুরুজ মিয়ার ছেলে।
নিহত ইব্রাহিম রাজু ৩ নম্বর জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
র্যাব-৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার জানান, রাজুর আত্মীয় জামাল উদ্দিন একই এলাকার এরশাদের কাছে দুইটি গরুর বাছুর বর্গা দিয়েছিলেন। গত ৯ জুলাই রাতে এরশাদের সঙ্গে শাহীন হোসেনের মধ্যে পাওনা টাকা নিয়ে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে শাহীন ও তার লোকজন ইব্রাহিম রাজুর আত্মীয় জামাল উদ্দিনের কাছ থেকে বর্গা দেওয়া দুইটি গরুর বাছুর জোর করে নিয়ে যেতে চেষ্টা করে। তখন গরুর মালিক মো. জামাল উদ্দিন ও তার দুই ছেলে তাদের বাঁধা দেয়। এসময় শাহীন ও তার লোকজন জামাল উদ্দিন এবং তার দুই ছেলেকে মারধর করে চলে যায়।
জামাল উদ্দিনের ছেলে আরাফাত ইব্রাহিম রাজুকে অবহিত করে ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে। আরাফাতের কথা মত রাজু তার দুই বন্ধুকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শাহীন হোসেনকে মারধরের কথা জিজ্ঞাসা করলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
এ সময় শাহীন ও তার লোকজন মিলে তাদের হাতে থাকা রামদা, কিরিচ, লোহার রড দিয়ে ইব্রাহিম রাজুকে আঘাত করতে থাকে। তারা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে রাজুর শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ কেটে ফেলে ও রড দিয়ে আঘাত করে বাম কাধ, হাত, পা, হাঁটু ভেঙ্গে দেয়। হামলাকারীরা যাওয়ার সময় ইব্রাহিম রাজুর ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও ভেঙ্গে দেয়। পরবর্তীতে রাজুকে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় রাজুর বাবা মাহি উদ্দিন বাদি হয়ে গত ১১ জুলাই চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ থানায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
আইএমই/এমএফও