চট্টগ্রাম থেকে অপহৃত হওয়ার ছয় বছর পর অবশেষে মিলল কাস্টমস কর্মকর্তা আবদুল আহাদের মরদেহ।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ প্রথমে ধারণা করেছিল, মরদেহটি কোনো দিনমজুরের। কিন্তু পকেটে থাকা একটি বেসরকারি ব্যাংকের হিসাব নম্বর দেখে প্রকৃত পরিচয় জানা যায়। পরে যোগাযোগের মাধ্যমে নিহত ব্যক্তির পরিবারকে খবর দেয় পুলিশ।
আবদুল আহাদ মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানার ভূইগাঁও ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামের মো. ইমানি মিয়ার ছেলে। তার স্ত্রী ও দুই কন্যাসন্তান রয়েছে। কর্মজীবনের শুরুতে তিনি একটি কলেজে প্রভাষক হিসেবে কাজ করতেন। পরে কাস্টমস বিভাগে যোগ দিয়ে প্রথমে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, এরপর ঢাকা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং সর্বশেষ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দায়িত্ব পালন করেন। সেখান থেকেই ২০১৯ সালের ৭ মে তিনি নিখোঁজ হন।
অপহরণ ও মুক্তিপণের অভিযোগ
আবদুল আহাদের ছোট বোন নাঈমা নাসরিন জানান, ভাই চট্টগ্রামে একাই থাকতেন। নিখোঁজ হওয়ার দিন ভোরে তার ভাবির মুঠোফোনে ফোন করে জানানো হয় যে আহাদকে অপহরণ করা হয়েছে। পরে তার ভাবি দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দেন। কিন্তু এরপরও ভাইকে আর ফেরত পাননি।
নাঈমা নাসরিন আরও বলেন, তার ভাই আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন, তবে কোনো পদে ছিলেন না। কেন তাকে অপহরণ করা হয়েছিল বা গুম করা হয়েছিল, সে বিষয়ে পরিবার কিছু জানে না। তারা ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত ও সংশ্লিষ্টদের বিচার দাবি করেছেন।
মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় মরদেহটি কীভাবে এলো, তা বৃহস্পতিবার পর্যন্তও নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। গত ছয় বছর আহাদ কোথায় ছিলেন, সে বিষয়েও কোনো তথ্য মেলেনি। পুলিশের দাবি, মরদেহে আঘাতের চিহ্ন নেই। প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে তার মৃত্যু হতে পারে।
ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত করা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।



