ছবি তোলার অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে শিবির ও ছাত্রদলের নেতারা বড় নেতা বনে যাচ্ছেন

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা

চট্টগ্রামের ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে মহানগর আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা শনিবার (১১ মে) অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ।

তিনি বলেন, একটি মহল দেশের শান্তি বিনষ্ট করার পায়তারা করছে, পার্বত্য অঞ্চলে বিভেদ-সংঘর্ষ লাগিয়ে রাখছে। দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নিবে বলে জানান তিনি।

দলে অনুপ্রবেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে ঘিরে ছবি তোলার অসুস্থ প্রতিযোগিতার কারণে শিবির ও ছাত্রদলের নেতারা দলটির সহযোগী সংগঠনের বড় নেতা বনে যাচ্ছেন। তিনি এমন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে বিব্রত বোধের কথা জানান।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিভিন্ন দল থেকে উচ্ছিষ্টভোগী ভাড়া করে এনে গঠিত হওয়া ঐক্যফ্রন্টে কোনো ঐক্য নেই। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম, মওদুদ আহমেদ, খন্দকার মোশারফ অন্য দল থেকে এসেছেন। চট্টগ্রামের নেতাদের কথা না হয় নাই বললাম। ক্ষমতার উচ্ছিষ্টভোগী বিএনপির মাঝেও কোনো আদর্শ নেই।

awami-league-meeting-chittagong
আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা

দল ও সরকারকে পৃথক ভাববেন না : নওফেল

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, সরকারের তৃতীয় মেয়াদে ঘোষিত ইশতেহার বাস্তবায়নে দল ও সরকারকে পৃথক না ভাবার জন্য নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমরা অনেকেই দলের ইশতেহার সম্পর্কে জানিনা। আদর্শের ভিত্তিতে আমাদের এগোতে হবে। আর আদর্শের ভিত্তি আসে ইশতেহার থেকে। সরকার দেশের ভাগ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। ইশতেহার বাস্তবায়নে দলের মাঝে সমন্বয় প্রয়োজন। না হয় বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ বির্নিমাণ সম্ভব হবে না।

বক্তব্য প্রদানকালে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন দলের গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে ব্যানার, ফেস্টুনে বিভিন্ন নেতার ছাপানো ছবির কড়া সমালোচনা করেন। তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা চান।

এ প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, অনেক সময় শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে সাংগঠনিক ও সরকারি কাজে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যেতে হয়। ওই সময় অনেক নেতাকর্মী ছবি তোলার জন্য আশপাশ ঘিরে ধরেন। এদের মধ্য সন্ত্রাসী ও অনুপ্রবেশকারী থাকে। তারা বিভিন্ন সুযোগে দলের বিভিন্ন দায়িত্ব ভাগিয়ে নিচ্ছে। অনেক ভূইফোঁড় সংগঠন করে চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম করে আসছেন। হানিফ দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ছাড়া আর কারো ছবি দিয়ে ব্যানার-পোস্টার না ছাপানের জন্য নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান। অন্যথায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হবেও বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, দলকে শক্তিশালী করতে রোজার মধ্যে ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের কাজ আর সেপ্টেম্বরের মধ্যে জেলা পর্যায়ের কাউন্সিল সম্পন্ন করতে চাই। এ বিষয়গুলো আমরা এগিয়ে রাখলে আমরা কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে গতি ফিরিয়ে আনতে পারব।
চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর জেলা, দক্ষিণ জেলা, কক্সবাজার, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভার আয়োজন করে মহানগর আওয়ামী লীগ। সভায় দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ সভাপতিত্বে সভা সঞ্চালনা করেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ও দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম।

আরও উপস্থিত ছিলেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের সাংসদ, দুটি সংরক্ষিত আসনের সাংসদ ছাড়াও বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!