চোর আতঙ্কে পশ্চিম ঢেমশার মানুষ, পুলিশ জানেই না

সাতকানিয়া উপজেলার পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়নে হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেয়েছে চুরির ঘটনা। গত দেড় মাসে ১০টি বাড়ি ও মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটেছে। তবে এখনো পর্যন্ত এসব ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ। এতে আতংকে দিন কাটাচ্ছেন এই ইউনিয়নের মানুষ।

জানা গেছে, গত ৫ ফেব্রুয়ারী পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মধু দাশের বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। এছাড়া ২৩ ফেব্রুয়ারী বাবুল চৌকিদারের বাড়িতে চুরি হয়। ২৪ ফেব্রুয়ারী ২নং ওয়ার্ডে হিন্দু পাড়া নারায়ন মন্দিরে গ্রিল কেটে দান বাক্স থেকে নগদ টাকা এবং প্রতিমার শরীর থেকে স্বর্নের চেইন চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল। শুধু তাই নয়, ওই সময় চোরের দল প্রতিমা এবং মন্দিরের মূল্যবান জিনিসপত্র ভেঙ্গে ফেলে। এছাড়া ১১ মার্চ গভীর রাতে ২ নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্ত মাস্টারের বাড়ির রন দাশের ঘর, ১৫ মার্চ ৩ নম্বর ওয়ার্ডে মমতাজ সওদাগরের বাড়িতে ছয়টি তালা ভেঙ্গে দশ ভরি স্বর্নলংকার নিয়ে যায় চোরেরা। ১৩ মার্চ রেইচা স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষকের বাড়ি ও ১৪ মার্চ সিএনজিচালিত অটোরিক্সা চালক নান্টু দাশের বাড়ি থেকে সাইকেল চুরি হয়।

পশ্চিম ঢেমশার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বাসিন্দা জানান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের জিন্নাহ এলাকায় খুব কমই সময় দেন। ১০-১৫ দিন পরপর তিনি এলাকায় আসেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তার কোন ভূমিকা চোখে পড়ার মত নয়। চেয়ারম্যান না থাকার সুবাদে এই ধরণের চুরির ঘটনা ঘটছে বলেও জানান তারা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই ইউনিয়নে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থাকলেও নেই কোন পুলিশী টহল। এ কারণে অনেকটাই নিরাপদ ভাবে চুরির কাজ চালিয়ে যায় চোরের দল।

পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের জিন্নাহ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘১০টি নয় হাতেগোনা কয়েকটি চুরির ঘটেছে। ওইসব বাড়িতে কোন লোকজন না থাকায় চুরির ঘটনা ঘটে। এলাকায় অনুপস্থিত থাকার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি সপ্তাহে তিনচার দিন এলাকায় থাকি। একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’

ঢেমশা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মজনু মিয়া চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘এ রকম কোন তথ্য বা চুরির অভিযোগ আমাদের কাছে নেই। কেউ অভিযোগ দিলে বিষয়টা অবশ্য দেখবো।’

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!