চেয়ারম্যানকে ধরতে গিয়ে চট্টগ্রামে ক্ষুব্ধ জনতার রোষের মুখে পুলিশ

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল মনসুরকে আটক করতে গিয়ে দফায় দফায় ক্ষুব্ধ জনতার বাধার মুখে পড়ে পুলিশ। এর একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এলাকার লোকজন।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হাটহাজারীর ধলই ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। আবুল মনসুর স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে পরিচিত। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি জয়লাভ করেন। তবে এলাকায় বিপুল জনপ্রিয় এই চেয়ারম্যান গত উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে ব্যর্থ হন। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরাগভাজন হন।

জানা গেছে, বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে হাটহাজারীর ধলই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল মনসুরকে আটক করার জন্য জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি টিম ইউপি কার্যালয় ঘিরে ফেলে। খবর পেয়ে মনসুরের সমর্থকরা ছাড়াও স্থানীয় এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে পুলিশের সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থান নেয়। মনসুরকে মাইক্রোবাসে করে নিয়ে যাওয়ার সময় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী পুলিশের মাইক্রোবাস থেকে চেয়ারম্যানকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।এ সময় তারা ইট-পাটকেলও ছোঁড়ে।

পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে মনসুরকে হাটহাজারী থানায় নিয়ে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আবুল মনুসরকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার পর এলাকাবাসী চট্টগ্রাম খাগড়াছড়ি মহাসড়কের কাটিরহাট মনিয়াপুকুর এলাকায় সড়ক অবরোধ করে। পরে সেনাবাহিনী ও র‌্যাব সদস্যরা সেখানে গিয়ে অবস্থান নেয়। প্রায় পৌনে এক ঘন্টা পর ওই সড়কে গাড়িচলাচল স্বাভাবিক হয়।

এদিকে পুলিশ দাবি করেছে, এ ঘটনায় তাদের ছয়জন সদস্য আহত হয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ‘হামলা’র ঘটনায় মনসুরের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে। তবে স্থানীয় অনেকে অভিযোগ করেছেন, এসব মামলা করা হয়েছে মূলত মামলাবাণিজ্য করার উদ্দেশ্য নিয়ে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm