চীন থেকে ড্রাই বাঁধাকপি ও পেঁয়াজ পাতা আনলো প্রাণ গ্রুপ, দেখে অবাক কাস্টমস কর্মকর্তারাও

3

চীন থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এলো ড্রাই বাঁধাকপি ও পেঁয়াজ পাতা। দেশে পর্যাপ্ত বাঁধাকপি ও পেঁয়াজ পাতা উৎপাদন হওয়ার পরও কেন বিদেশে থেকে আমদানি করা হচ্ছে— এ প্রশ্ন তুলেছেন কাস্টমস হাউসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তবে এ চালান ছাড় দেওয়া হলেও এ ড্রাই বাঁধাকপি এবং পেঁয়াজের সবুজ পাতা কী কাজে কিভাবে ব্যবহার হবে সেটি অজানা কাস্টমস হাউসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।

চীন থেকে পণ্যের এই চালানটি নিয়ে এসেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাণ গ্রুপ। সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রাণ গ্রুপের সেলফ সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠান এ চালান খালাস করে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে।

এক কনটেইনারের ওই চালানে মোট ৫ হাজার কেজি পণ্যের মধ্যে ড্রাই বাঁধাকপি ছিল তিন হাজার কেজি আর পেঁয়াজ পাতা ছিল দুই হাজার কেজি।

s alam president – mobile

চট্টগ্রাম কোয়ারেন্টাইন অফিসের কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ড্রাই বা শুকনো বাঁধাকপি স্বাদে হালকা মিষ্টি। এটি বিশেষভাবে প্রসেসিং করার পর ছোট আকারে গুঁড়ো করে তাতে মিষ্টিজাতীয় কিছু মেশানো হয়েছে। ফলে এটি রান্না ছাড়াও খেতে সুস্বাদু। এতে হালকা মসলাজাতীয় গন্ধ পাওয়া যায়। এই বাঁধাকপি যেমন শুকনো অবস্থায় খাওয়া যায়, আবার যেকোনো রান্নায়ও মসলা হিসেবে ব্যবহার করা যায়। স্যুপজাতীয় খাবারেও এটি ব্যবহার হতে পারে বলে ধারণা করছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।

উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইংয়ের করেনিং প্যাথলজিস্ট ছৈয়দ মুনিরুল হক জানান, ডিহাইড্রেট ক্যাবেজ হিসেবে আমদানি হচ্ছে এসব শুকনো বাঁধাকপি ও সবুজ পেঁয়াজ পাতা।

তিনি বলেন, ‘দেশে উৎপাদিত বাঁধাকপি আমাদের দেশ থেকে বিদেশে রপ্তানি হয়। অথচ বিদেশ থেকে কেন অন্যভাবে এসব আমদানি করা হচ্ছে— সেটা ভেবে আমরাও বিস্মিত হয়েছি। তবে পণ্যের চালানটি আমরা ছাড় দিয়ে দিয়েছি। কী কাজে কিভাবে এসব ব্যবহার হবে সেটি আমাদের জানা নেই। তবে এ পণ্য চালানে ক্ষতিকর কিছুই নেই। শুকনো মুখে খাওয়া যায়।’

Yakub Group

চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা চাই এ ধরনের পণ্য বিশেষভাবে প্রসেসিং করে আমাদের দেশ থেকেই রপ্তানি হোক। যেহেতু আমাদের দেশে পর্যাপ্ত ফুলকপি-বাঁধাকপির চাষ হয়। এছাড়া পেঁয়াজ পাতাও আমাদের দেশের পাওয়া যায়। এ ধরনের কৃষিপণ্য বিদেশে রপ্তানি হলে আমাদের কৃষকদের জীবনমান বাড়বে। সেই সাথে দেশের অথনীতি আরও সমৃদ্ধ হবে।’

চট্টগ্রামের হালদাভ্যালি চা বাগানের মালিক ও প্যাডরোলো এনকে গ্রুপের চেয়ারম্যান নাদের খান বলেন, ‘ধীরে ধীরে এ প্রযুক্তি আমাদের দেশে এসে যাবে। বিশেষ কাটিংয়ের মাধ্যমে তাপমাত্রার মানদণ্ড ঠিক রেখেই শুকানো হয় এসব ড্রাই পণ্য। তবে চাহিদার ওপর ভিত্তি করেই উৎপাদনে যাওয়া উচিত যে কোনো প্রতিষ্ঠানকে। আমাদের কাঁচামাল আছে, কিন্তু যথাযথ মেশিনারিজের অভাবে হয়ত এ পণ্য উৎপাদন করা যাচ্ছে না। আমরাও চেষ্টা করতে পারি আগামীতে।’

এএস/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm