চাকরি দেওয়ার নামে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই প্রতারক

প্রতারক চক্র বেকার যুবকদের টার্গেট করে বাংলাদেশ ব্যাংক, চট্টগ্রাম বন্দর, ডাচ বাংলা ব্যাংক, এইচএসবি ব্যাংক, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া অভিযোগে চক্রের মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (বন্দর জোন)।

বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ভোরে প্রতারক ইব্রাহিমকে নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন পাক্কা দোকান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান সিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের (বন্দর জোন) উপ-কমিশনার এসএম মোস্তাইন হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, এই প্রতারক চক্রের প্রতারণার জাল চট্টগ্রামের সীমানা ছাড়িয়ে ঢাকা, কুমিল্লা, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন অঞ্চলের বিস্তৃত ছিল। তারা শিক্ষিত, বেকার যুবকদের টার্গেট করে এসব অর্থ হাতিয়ে নিতো।

এসএম মোস্তাইন হোসেন জানান, ইব্রাহিম চাকরি দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেয়ার যে চক্র তার মূলহোতা। এই চক্র বেকার যুবকদের টার্গেট করে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেয়। চাকরি দেওয়ার নামে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা থেকে সর্বনিম্ন ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছে।

তিনি আরও জানান, একজন ভুক্তভোগী আমাদের কাছে অভিযোগ করলে আমরা যাচাই করে অভিযোগের সত্যতা পাই। সত্যতা পেয়ে অভিযান চালিয়ে ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তার করি। প্রতারক চক্রের আরও সদস্য রয়েছে, তাদেরও খুঁজে বের করা হবে।

অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ডিবি, বন্দর জোন) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক জানান, আটক ইব্রাহিমের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভুয়া নিয়োগপত্র, ব্যাংকের চেক ও স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পাঁচটি প্রতারণার মামলা রয়েছে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ২০ জনেরও বেশি ভুক্তভোগী ইব্রাহীম আটকের কথা শুনে ডিবি কার্যালয়ে যোগাযোগ করেছেন। তারা প্রায় কোটি টাকার মতো এই চক্রের হাতে তুলে দিয়েছিলেন।

প্রতারিত যুবকদের একজন নগরীর সল্টগোলা ক্রসিং এলাকার নিজাম উদ্দিন।

বিবিএ, এমবিএ সম্পন্ন করা উচ্চশিক্ষিত এই যুবক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, চাকরি পাওয়ার সকল ধাপ অতিক্রম করে আমাকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অডিট অফিসার পদে নিয়োগপত্রও দেওয়া হয়েছিল। আমি কাজে যোগাযোগ দিতে গিয়ে দেখি পুরোটাই প্রতারণা।
নিজামের চাকরিতে ভুয়া নিয়োগ প্রাপ্তি থেকে কাজে যোগদানের সময়টাতে এই চক্রের খপ্পরে পড়েন তার আরো দুই আত্মীয়। এই তিনজন থেকে এই চক্র ১৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, খুব দ্রুত এই চক্রের অন্য সদস্যদের শিগগিরই আইনের আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে।

এফএম/এএস/এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!