চাকরিতে ৩০ শতাংশ কোটা পুনর্বহালসহ ৭ দফা দাবিতে চট্টগ্রামে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছে তারা।
সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি কফিল উদ্দিন সভাপতিত্ব করেন।
সাধারণ সম্পাদক আব্বাস উদ্দীনের সঞ্চলনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন, মো. সানাউল্ল্যাহ, জাফর আহম্মদ বাবু, বিভাগীয় সহ সভাপতি নুর হোসেন মিরাজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দীন, জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, উত্তরের সভাপতি উজ্জ্বল শর্মা, সাধারণ সম্পাদক শওকত আকবর মুন্না, দক্ষিণের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ, সাধারণ সম্পাদক সেলিম চৌধুরী, মহানগর সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমেদ তাসবি, সহ সভাপতি শিলা পারভিন হাওয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জোমাদ্দার, সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর দাশ, হাবিবুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক শামসুন নাহার, সদস্য কামরুল হাসান, মো. ওমর ফারুকসহ বিভিন্ন উপজেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা।
স্মারকলিপির সাত দফায় বলা হয়েছে, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সব পদে ৩০% মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল ও সংরক্ষণ, আলাদা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিসহ প্রমোশন বঞ্চিত বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রমোশন দিতে হবে, বয়সসীমা ৩৫ ।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সুরক্ষা আইন পাশ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রেণী ও মর্যাদা নির্ধারণসহ চিকিৎসা ক্ষেত্রে হয়রানি বন্ধ করতে হবে, স্বল্প সুদে লোন দিতে হবে, সম্মানীভাতা ৫০ হাজার টাকা করতে হবে।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিনের কেন্দ্রীয় অফিসসহ সকল জেলা মহানগর, উপজেলা, থানা অফিস দিতে হবে, বঙ্গবন্ধু কর্তৃক উপহার মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাষ্টের সম্পত্তি বিক্রয় না করে, লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনে সকল শহীদ, মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে অন্তত একজন সদস্যকে ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষমতা প্রদান করতে হবে। জীবিত বা মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সমান সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।
জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের জন্য জাতীয় সংসদে কমপক্ষে ৫০টি সংরক্ষিত আসন সৃষ্টি করতে হবে। জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদে ২ জন করে বীর মুক্তিযোদ্ধা বা তাদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত সদস্য পদ সৃষ্টি করতে হবে। সকল প্রতিষ্ঠানের গভর্ণিং কমিটি ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটিতে ২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা বা তাদের সন্তানদেরকে বাধ্যতামুলক সদস্য করতে হবে দুর্নীতি রোধ কল্পে ।
সমগ্র দেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর হামলা, নির্যাতন ও তাদের জমি দখলের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে এ বিষয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিতে হবে। দূর্নীতি-মাদক-ধর্ষণের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
মেডিকেল, কারিগরিসহ সকল সরকারী বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ছাত্রদের ভর্তির ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনিদের জন্য ১০ শতাংশ আসন দিতে হবে।
আরএম/এমএফও