চাঁদাবাজদের ভয়ংকর দিন আসছে: রাঙামাটিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

যারা চাঁদাবাজি করছে, খুন করছে, অযথা রক্তপাত করছে তাদের ভয়ংকর দিন আসছে এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে কোনো জায়গায় গিয়ে রেহায় পাবেন না। সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। পাহাড়ে আর কোনো রক্তপাত চাই না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী অনেক শক্তিশালী। আমরা যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম। কেউ যদি ঘরে বসে স্বপ্ন দেখেন অঞ্চলটিকে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে অচল করে দেব। সেই স্বপ্ন স্বপ্নই থাকবে, তা কোনো দিনও বাস্তবে রূপ পাবে না। আমরা ধৈর্য্য ধরে সঙ্কট মোবাবেলা করছি বলে মনে করবেন না আমাদের সক্ষমতা নেই। যে কোনো মূল্যে পাহাড়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করা হবে।

তিনি বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকালে রাঙামাটির ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে তিন পার্বত্য জেলার আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অশান্ত পার্বত্য চট্টগ্রামকে শান্ত করার জন্য যে শান্তিচুক্তি করা হয়েছে তারই আলোকে এখানে শান্তির সুবাতাস ছড়িয়ে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। শান্তির সুবাতাস দেশের সব জেলার মতো পার্বত্য তিন জেলায়ও সমানতালে ছড়িয়ে দিতে আমরা কাজ করছি।

মন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারের পর্যটন সৌন্দর্যকে কাজে লাগিয়ে যে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে, সে জায়গায় পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকেও কাজে লাগিয়ে এখানকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করতে হবে।

তিনি বলেন, কেন এখানকার মানুষ না খেয়ে থাকবে? কেন এখানকার মানুষ আতঙ্কে থাকবে? কোনও সন্ত্রাসী কার্যক্রমকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।

পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপির সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটির সাংসদ দীপংকর তালুকদার, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, ডিজিএফআই মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাইফুল আবেদিন, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাফিন আহমেদ, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহুল ইসলাম, পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুদত্ত চাকমা, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুল মান্নান, চট্টগ্রাম সেনবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এসএম মতিউর রহমান, বিজিবির চট্টগ্রার রেঞ্জের রিজিয়ন কমান্ডার আমিনুর রহমান শিকদার, চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমাসহ তিন পার্বত্য জেলার রিজিয়ন কমান্ডার, তিন পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক, তিন পার্বত্য জেলার পুলিশ সুপার, তিন পার্বত্য জেলার বিজিবি অধিনায়ক, তিন পার্বত্য জেলার ডিজিএফআই অধিনায়কসহ তিন পার্বত্য জেলার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ।

সভায় পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদু ঊশৈসিং বলেন, জনগণের জান-মাল রক্ষার জন্য যা যা করার দরকার, এ সরকার সবকিছুই করবে। পাহাড়ে আমরা আর স্বজন হারাতে চাই না। পাহাড়ে রক্তপাত বন্ধ করতে সরকার যে পদক্ষেপ নিবে, এখানকার সাধারণ জনগণ তার সঙ্গে থাকবে।

সকাল ১১টায় এ আলোচনা সভা শুরু হয়ে বিকাল সাড়ে ৩টায় শেষ হয়। এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় রাঙামাটিতে তিন পার্বত্য জেলার আইন-শৃঙ্খলাবিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!