চসিক নির্বাচনে অনিয়ম করলে ৫ বছরের কারাদণ্ড

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন কার্যক্রম পরিচালনায় দায়িত্বপ্রাপ্তদের কেউ যদি কোন প্রকার অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তাকে ছয় মাস থেকে সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাভোগ করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত একটি নির্দেশনা ইতোমধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

নিদের্শনায় বলা হয়েছে, ভোটের দায়িত্বরতদের কেউ যদি কোনো ভোটারকে কারও পক্ষে ভোটদানে প্ররোচিত করেন, কাউকে ভোটদান থেকে নিবৃত্ত করেন, কোনো ব্যক্তির ভোটদানকে কোনোভাবে প্রভাবিত করেন এবং নির্বাচনের ফলাফল প্রভাবিত করার জন্য পরিকল্পিত উপায়ে অন্য কোনো পদক্ষেপ নেন তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ন্যূনতম ছয় মাস এবং সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

একই দণ্ডে দণ্ডিত হবেন যদি কেউ সরকারি পদমর্যাদার অপব্যবহার করে কোন প্রভাব বিস্তার করেন, আবার কেউ যদি যুক্তিসঙ্গত কারণ বা স্বেচ্ছায় দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা দেখান।

নির্বাচনী দায়িত্বে বলতে বুঝানো হয়েছে, রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, পোলিং কর্মকর্তা অথবা নির্বাচন সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনরত অন্য কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কোনো সদস্য।

ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান গণমাধ্যমকে জানান, নির্বাচনে যারা দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের ওপর ইসির নজরদারি থাকবে। ইসির নিজস্ব পর্যবেক্ষক দল ছাড়াও নির্বাচন তদন্ত কমিটিতো থাকছেই।

নির্দেশনাটির অনুলিপি মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্যসচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সিনিয়র সচিব, পুলিশের আইজি, বিজিবি-র্যাব-কোস্টগার্ড-আনসার ও ভিডিপির পরিচালক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি, সিএমপি কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) আগামী ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এফএম/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!