চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন দলে সাজ সাজ রব পরে গেলেও অন্য দলগুলোর কোন কার্যক্রমই চোখে পড়ছে না সেভাবে। আওয়ামী লীগের মাঠে বিএনপি নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিলেও আজ পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম আরম্ভ করেনি তারা। এ বিষয়ে সোমবার) বিএনপি নিজেদের পরিকল্পনা সংবাদমাধ্যমকে জানাতে পারে।
নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, কিছুদিন আগে আমাদের দলের মহাসচিব চট্টগ্রাম এসে ঘোষণা দিয়ে গেছেন সব নির্বাচনেই অংশ নিবে বিএনপি। তবে এখন পর্যন্ত এর বাইরে কোন নির্দেশনা আমাদের দেয়া হয়নি।
ক্ষমতাসীন দল ইতোমধ্যে প্রার্থী চূড়ান্ত করে ফেললেও এখন পর্যন্ত বিএনপি দলীয় মনোনয়ন বিক্রিও শুরু করতে পারেনি। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বক্কর বলেন,‘আজ বা কালকের মধ্যে স্থায়ী কমিটির বৈঠক হবে। মোটামুটি সোমবারের মধ্যে নির্বাচনের বিষয়ে দলের দিকনির্দেশনা পাওয়া যাবে।’
আগামী ২৯ মার্চ (রোববার) চসিকের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এদিন ভোটগ্রহণ হবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে চসিক ভোটের তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. আলমগীর। তফসিল ঘোষণার আগেই শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দলীয় প্রার্থী হিসেবে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিমকে মনোনয়ন দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
তফসিল অনুযায়ী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ২৭ ফেব্রুয়ারি, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ মার্চ, আপিল ২ থেকে ৪ মার্চ, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৮ মার্চ, প্রতীক বরাদ্দ হবে ৯ মার্চ। আর ভোটগ্রহণ হবে ২৯ মার্চ।
২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকা মহানগরের উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন হয়েছিল। ভোটগ্রহণের পর মে মাসেই ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরেরা দায়িত্ব নেন। কিন্তু চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও ৪১ ওয়ার্ডের কাউন্সিলরেরা দায়িত্ব নিয়ে প্রথম সভা করেছেন ২০১৫ সালের ৬ আগস্ট।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইনে বলা আছে, নির্বাচিত পরিষদের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম সভার পাঁচ বছর মেয়াদ পূরণের দিন থেকে ১৮০ দিন আগে যে কোনও দিন নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। সে হিসেবে ২০২০ সালের ৫ আগস্টের মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
এআরটি/এসএ