চট্টগ্রামের লালখান বাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবু হাসনাত মো. বেলালের বিরুদ্ধে দলীয় নেতাকর্মীদের মামলা-হামলাসহ নানা হয়রানির অভিযোগ তুলে সাংবাদ সম্মেলন করেছেন লালখানবাজার ওয়ার্ডের বিভিন্ন ইউনিট আওয়ামী লীগের নেতারা।
শনিবার (২ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে ১৪ নম্বর লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। এতে ওয়ার্ডের তিনটি ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতারা অভিযোগ করেন, ‘আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতির নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠার চেষ্টা করছেন। সংগঠনকে কুক্ষিগত করতে ব্যর্থ হয়ে তিনি সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছেন। বিভিন্নভাবে স্থানীয়দের কাছে আওয়ামী লীগের সম্মান ক্ষুন্ন করার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন লালখান বাজার ওয়ার্ডের গ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক সমীর কান্তি দে। তিনি বলেন, ‘অত্র এলাকার কাউন্সিলর ও তার বাহিনী জনগণের মাঝে সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার মিশন হিসেবে দলীয় নাম ও পদবি ব্যবহার করে অবৈধভাবে অর্থবিত্ত ও বৈভব গড়ছে।’
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় হাইকমান্ডের নিকট ভুয়া তথ্য দিয়ে দলীয় মনোনয়ন বাগিয়ে নেয়। জনগণকে ভুয়া প্রতিশ্রুতি দিয়ে বোকা বানিয়ে এবং ভোটারদের ভীতি প্রদর্শন ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে কাউন্সিলর বনে যায়।’
কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর আবুল হাসনাত মো. বেলাল আরও ‘বেপরোয়া’ হয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের নিপীড়ন নির্যাতন এবং গত এক বছরের এক ডজনের বেশি মামলা করিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন সমীর কান্তি দে।
গ ইউনিটের সভাপতি নুরুল আলম বলেন, ‘কাউন্সিলর হওয়ার পর তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। উনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের একটি পদে আছেন। তিনি চান আমরা উনার নির্দেশে চলি। কিন্তু ওনাকেতো আওয়ামী লীগ চালানোর দায়িত্ব দেয়া হয়নি।’
নুরুল আলম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘লালখান বাজার এলাকার অধিকাংশ দরিদ্র পরিবার টিসিবি’র পণ্যের জন্য কার্ড পেতে বারবার ওয়ার্ড অফিসে ধর্না দিলেও পায়নি। ২৭ মার্চ ইস্পাহানি মোড়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় জনগণ ও দলীয় নেতাকর্মীদের চাপের মুখে সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম প্রকাশ্যে এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানান।’
তিনি বলেন, ‘তখন নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতেই কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মো. বেলাল অশোভন আচরণ করে ও হুমকি দেয়। পরদিন তার উপস্থিতিতে দিদারুল আলম মাসুমের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। অঙ্গ সংগঠনের নেতা হয়ে তিনি কিভাবে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগকে পরিচালিত করতে চান?’
সংবাদ সম্মেলনে দিদারুল আলম মাসুম উপস্থিত থাকলেও তিনি ছিলেন দর্শক সারিতে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ক ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন হিরণ, খ ইউনিটের সভাপতি এস এম ইব্রাহিম, সাধারণ সম্পাদক আসলাম হোসেন মাসুম।
এআরটি/এমএফও