চমক দেখিয়ে চট্টগ্রাম উত্তরে নৌকার মাঝি রুহেল-মামুন, দক্ষিণে মোতাহের

আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ঘিরে ছিল নানা জল্পনা কল্পনা। কারা পাচ্ছেন নৌকার টিকেট- এনিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা। এর মধ্যে চট্টগ্রামে আসলো বড় চমক। চট্টগ্রামের হেভিওয়েট প্রার্থীদের টপকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলার দুই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দুই তরুণ রাজনীতিক।

দক্ষিণেও হয়েছে আচমকা রদবদল। মনোনয়ন চেয়েও বাদ পড়েছেন দুই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য।

রোববার (২৬ নভেম্বর) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সেখানেই জানা গেছে এসব তথ্য।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার পটিয়া আসন (চট্টগ্রাম-১২) থেকে নৌকার মাঝি হলেন মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও মনোনয়ন ফরম নেওয়ার পর তিনি দলীয় মনোনয়ন পাবেন না- এমন গুঞ্জন ছিল রাজনৈতিক অঙ্গনে। অবশেষে গুঞ্জনে পানি ঢেলে দিলো আওয়ামী লীগ।

ওই আসন থেকে পর পর তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন হুইপ শামসুল ইসলাম। তিনিও মনোনয়ন দৌড়ে ছিলেন। চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য হুইপ শামসুল হক চৌধুরী ছাড়াও ১৬ জন মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন।

এদিকে মিরসরাই (চট্টগ্রাম-১) আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন মাহবুবুর রহমান রুহেল। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মিরসরাই আসন থেকে সাতবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ছেলে রুহেল। ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন নির্বাচন করবেন না ঘোষণা দিয়ে নিজের ছেলের জন্য নৌকার মনোনয়ন ফর্ম সংগ্রহ করেছেন। এরপর থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল, রুহেলেই হবেন মিরসরাইয়ে নৌকার মাঝি।

ওই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম নিয়েছিলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দীন ও কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিটসহ চারজন। এদের টপকে নৌকার মাঝি হলেন তরুণ রুহেল।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড, চসিকের একাংশ) আসনে মোট ১৩ জন নৌকার টিকিট চেয়েছিলেন। তাদের মধ্যে বর্তমান সংসদ সদস্য দিদারুল আলমও ছিলেন। এবার মনোনয়ন দৌড়ে তিনি ছিটকে গেলেন। আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড আস্থা রেখেছে সদ্য উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করা এস এম আল মামুনের উপর।

এস এম আল মামুনের বাবা এবিএম আবুল কাশেম মাস্টার মৃত্যুর আগে দুইবার এই আসনের সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আমৃত্যু সভাপতি ছিলেন।

মামুন উত্তর জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন।

আরএম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm