চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. তারেক চৌধুরীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ ওঠা আনোয়ারা থানার সেই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের এক অফিস আদেশে তাকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।
২০ জুন এ ঘটনার সুরাহা চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) হস্তক্ষেপ চেয়েছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. আব্দুল হক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়। এ সময় তারা চবি শিক্ষকের বাড়িতে হামলা পর তাকে ও তাঁর পরিবারকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. তারেক চৌধুরীর চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলাধীন হাইলধর ইউনিয়নের খাসখামা এলাকার গ্রামের বাড়িতে গত ২৭ মে রাত ৮টার দিকে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুষ্কৃতকারীরা বর্বরোচিতভাবে তাঁর বসত ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর এবং মুল্যবান জিনিসপত্র ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করে। এই সন্ত্রাসী ও লাঠিয়াল বাহিনী মধ্যযুগীয় কায়দায় ঘরে অবস্থানরত তাঁর পরিবারের মহিলা ও শিশু সদস্যসহ চার জনকে আহত করেছে৷
অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এ ধরণের একটি পরিস্থিতিতে আনোয়ারা থানার দায়িত্বরত সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা হামলাকারীদের পক্ষ থেকে আনীত মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে উল্টো চবি শিক্ষক মো. তারেক চৌধুরীসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধেই সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও হয়রানিমূলক মামলা রুজু করেছেন।
আরএম/এমএফও