চবি গ্রন্থাগারের ১৪ মনিটর চুরির তদন্ত ঝুলছে ৬ মাস ধরে, করোনার অছিলা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে ব্যবহৃত ১৪টি মনিটর চুরির ঘটনার ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি। যদিও কমিটিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে চাঞ্চল্যকর এই চুরির ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছিল।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২১ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের জানালার গ্রিল কেটে গ্রন্থাগারে ব্যবহৃত ১৪ টি মনিটর চুরি করে দুর্বৃত্তরা। এছাড়া ছয়টি সিপিইউ বাইরে পড়ে থাকতে দেখা যায়। চুরি হওয়া মনিটরগুলো গ্রন্থাগারের প্রতিবন্ধী কর্নারে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ই-লার্নিংয়ের জন্য ব্যবহার হতো।

এই ঘটনা তদন্তে ২৩ এপ্রিল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহবুবুল হককে আহ্বায়ক ও আইসিটি সেলের সিনিয়র অ্যাসিসটেন্ট সিস্টেম এডমিনিস্ট্রেটর মো. মজনু মিয়াকে সদস্য সচিব করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। এতে সহকারী প্রক্টর ড. মো. আতিকুর রহমানকে সদস্য করা হয়।

এদিকে তদন্ত কমিটি গঠনের ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি কমিটি। এর জন্য তারা দুষছেন করোনাকে। করোনার কারণে ‘সবার সাথে কথা বলতে না পারায়’ প্রতিবেদন জমা দিতে দেরি হচ্ছে বলে জানান কমিটির সদস্যরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব মো. মজনু মিয়া। তিনি অন্য সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।

জানতে চাইলে কমিটির সদস্য ও সহকারী প্রক্টর ড. মো. আতিকুর রহমান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক পারিবারিক কারণে বর্তমানে দেশের বাইরে থাকায় প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়নি। ওনি আসলে আমরা প্রতিবেদন জমা দিয়ে দেবো।’

ছয় মাস লাগার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে সবার সাথে ঠিকভাবে কথা বলা যায়নি। তাই প্রতিবেদন তৈরিতে দেরি হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আশা করছি দিতে পারবো।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান বলেন, তদন্ত কমিটি কাজ করছে। প্রতিবেদন এখনও জমা দেয়নি।

এমআইটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm