চবি ক্যাম্পাস পরিষ্কারে ভরসা শিক্ষার্থীরাই, ৫৫ বছরেও গড়ে উঠেনি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

আয়তনের দিক থেকে দেশের সর্ববৃহৎ ক্যাম্পাস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৬ সালে। প্রতিষ্ঠার ৫৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও এই ক্যাম্পাসে গড়ে উঠেনি স্থায়ী কোন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। এমনকি ক্যাম্পাসের কোথাও কোন ডাস্টবিনেরও দেখা মেলে না। নেই কোন পরিচ্ছন্নতা কর্মীও। ফলে ক্যাম্পাসের যত্রতত্র স্থানে বর্জ্য স্তুপ করে রাখা হয়। নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয় না বলে দুর্গন্ধময় পরিস্থিতি ম্লান করে দিচ্ছে সুবিশাল ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যকে। দূষিত করছে ক্যাম্পাসের পরিবেশকেও। তাই সুবিশাল ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে মাঝেমধ্যে এগিয়ে আসে শিক্ষার্থীরা।

চবি ক্যাম্পাস পরিষ্কারে ভরসা শিক্ষার্থীরাই, ৫৫ বছরেও গড়ে উঠেনি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা 1

সর্বশেষ ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপি ক্যাম্পাসজুড়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছে ‘ক্লিন ক্যাম্পাস চবি’ নামের একটি সংগঠন।

সংগঠন সূত্রে জানা যায়, প্রথম দিন ৬ ফেব্রুয়ারি স্বেচ্ছাসেবী এই সংগঠনের সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলার ঝুপড়ি, জারুলতলা, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির চারপাশ, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ ও মুক্তমঞ্চ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেন। পর্যায়ক্রমে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লেডিস ঝুপড়ি, বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকা, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ও ঝুপড়ি, আইইআর চত্ত্বর, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ও স্টেশন চত্বর পরিষ্কার করেন।

চবি ক্যাম্পাস পরিষ্কারে ভরসা শিক্ষার্থীরাই, ৫৫ বছরেও গড়ে উঠেনি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা 2

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সোহেল মাহমুদ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ক্লিন ক্যাম্পাস চবি মাসব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করে। যা কিছু সচেতন চবিয়ানদের নিঃস্বার্থ শ্রম ও ঘামের বিনিময়ে সফল হয়েছে। আমরা একটি পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাসের স্বপ্ন দেখি। সে লক্ষ্যে আমরা আমাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় কোন ত্রুটি আমরা রাখিনি। সামনের দিনগুলোতেও আমাদের কার্যক্রম চলমান থাকবে।

তিনি বলেন, আমরা চাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে সদিচ্ছা। প্রশাসন চাইলেই ক্যাম্পাসে ডাস্টবিন বসানোর কাজটা শিগগিরই সেরে নিতে পারে। ক্যাস্পাসে যদি কিছু সংখ্যক ডাস্টবিন বসানো হয়, তাহলে ক্যাম্পাস অনেকটা পরিষ্কার থাকবে।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘ছোট আকারে রিসাইক্লিং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে গেলেও আমাদের ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা লাগবে। আমরা এই টাকা জোগাড় করার জন্য চেষ্টা শুরু করছি। এটা করা গেলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় হবে ইউনিক। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখছি। বিভিন্ন মাধ্যমে আলোচনাও চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি শীঘ্রই কিছু একটা হবে।’

এমআইটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm