চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আবাসিক হল থেকে মালামাল নিতে এসে মারধরের শিকার হয়েছেন এক শিক্ষার্থী।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আবদুর রব হলে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার ওই শিক্ষার্থীর নাম হায়াত উল্লাহ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।
হায়াতের সহপাঠীরা জানান, সকালে হায়াত হল থেকে মালামাল নিতে ক্যাম্পাসে এসেছিলেন। সাড়ে নয়টার দিকে হায়াতকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে তিনজন অপহরণ করে শহীদ আবদুর রব হলের ৩২৪ নম্বর কক্ষে নিয়ে যান।
অপহরণের পর তারা হায়াতকে সেখানে প্রায় আধা ঘণ্টা লাঠি দিয়ে হায়াতকে বেধড়ক পেটানো হয়। পরে প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে গিয়ে হায়াতকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হায়াতের সঙ্গে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ছিলেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শামসুল আলম। চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তারা ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। যারা এ ঘটনায় জড়িত ছিল, তাদের হলের কর্মচারীরা চেনেন। কর্মচারীদের জিজ্ঞেস করলে হামলাকারীদের পরিচয় পাওয়া যাবে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা হল প্রভোস্টের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি হল থেকে জিনিসপত্র নিতে গিয়ে কয়েকজন বন্ধুর মধ্যে কোনো বিষয়ে বিতণ্ডা থেকে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা শোনামাত্রই আমাদের দুজন সহকারী প্রক্টর ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে হলের অতিথি কক্ষ থেকে উদ্ধার করে৷’
প্রক্টর বলেন, ‘পরবর্তীতে প্রক্টরের গাড়িতে করে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সহকারী প্রক্টর তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে সেখানে চিকিৎসা দিয়ে তাকে রিলিজ দেওয়া হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনার বিষয় হল কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এই ঘটনাই যেই জড়িত থাকুক না কেন, তদন্ত সাপেক্ষে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে। আমরা এ ধরনের ঘটনায় জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছি।’
এমআই