শিক্ষক লাঞ্ছনার অভিযোগে বহিষ্কৃত হওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ছাত্রীর সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বহাল থাকছে।
অন্যদিকে যে নয় ছাত্রীকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর কথিত ‘হামলা’র ঘটনায় দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল, আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য তাদের ১৫ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ৫৫৯তম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সট্রাঅর্ডিনারি সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সভায় ঘটনার বিষয়ে গণশুনানি ও নতুন তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
এর আগে ৫ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জননেত্রী শেখ হাসিনা হলে ছাত্রীদের সঙ্গে চবির প্রক্টরিয়াল বডির বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক কোরবান আলীকে শারীরিক লাঞ্ছনা করেছেন এক ছাত্রী। তবে আরও কয়েকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রক্টরিয়াল বডির একাধিক সদস্য ছাত্রীদের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করেছেন।
এ ঘটনায় গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ১২ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়। এর মধ্যে সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক কোরবান আলীকে শারীরিক লাঞ্ছনার অভিযোগে এক ছাত্রীকে স্থায়ী বহিষ্কার ও সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও ৯ শিক্ষার্থীকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। অপর এক ছাত্রীকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়।
এরপর থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিতর্কিত প্রক্টর তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফের পদত্যাগ এবং নয় ছাত্রীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকেন। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘বহিষ্কারের আগে ছাত্রীদের কোনো ধরনের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়নি প্রশাসন। অথচ ছাত্রলীগ নেতাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়েছে।’