চবির ট্রেনে যৌন হেনস্তায় ক্ষোভে ফুঁসছে শিক্ষার্থীরা, নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে বসেছে প্রশাসন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চলন্ত শাটল ট্রেনে বহিরাগত বখাটের হাতে এক শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন শিক্ষার্থীরা। যৌন হয়রানির এই সংবাদ চট্টগ্রাম প্রতিদিনে প্রকাশের পর বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীরা এই সংবাদ ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে এ ঘটনার জন্য প্রশাসনকে দায়ী করছেন। পাশাপাশি শাটলে নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) রাত সোয়া সাতটার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চলন্ত শাটল ট্রেনে বহিরাগত বখাটের হাতে যৌন হয়রানির শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়েরই একজন ছাত্রী। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। পরে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ওই ছাত্রী পুরো ঘটনার বর্ণনা দেন চট্টগ্রাম প্রতিদিনের প্রতিবেদককে।

এ ঘটনার প্রতিক্রিয়া মনিশা হক নামের একজন লিখেন, ‘আল্লাহ… আর কত কি হবে! নিজেদের শাটলেই যদি আমরা নিরাপত্তা না পাই, আর কোথায় কার কাছে আশা করব!’

তানভীর তুষার নামের একজন লিখেন, ‘প্রতিনিয়ত এসব কি হচ্ছে ধিক্কার জানাই ঘুমিয়ে থাকা চবির প্রশাসনকে। শাটলে নাই কোন লাইটের ব্যবস্থা, নাই কোন নিরাপত্তা। কইদিন পর পর পাথর নিক্ষেপ, এক টাইমের ট্রেন অন্য টাইমে চলে এইরকম আর কত কি।’

পুষ্পা নামের একজন লিখেন, ‘এই শাটলে চড়ার জন্য প্রত্যেকের ভার্সিটি প্রদত্ত কার্ড সিস্টেম চালু করা দরকার। তাহলেই বহিরাগতদের এইসব টর্চার থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।’

মুন্নী মজুমদার লিখেন, ‘আল্লাহ কি পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা। এসব দেখতে দেখতে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি দিন দিন। লজ্জা হয় নিজেকে নিয়ে কেন এটায় পড়ি।’

তানহা ইসলাম ছোঁয়া লিখেন, ‘ছিঃ! কী জঘন্য অবস্থা আমার এই ক্যাম্পাসের।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. শহীদুল ইসলাম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়েছি। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ, থানাসহ সব জায়গায় কথা বলেছি। সাদা পোশাকেও পুলিশ এটা নিয়ে কাজ করছে। শাটলের নিরাপত্তা জোরদারে আমরা সবই করবো।’

চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমাদের লোকবল সংকট রয়েছে। তবুও আমরা শাটল ট্রেনে নিরাপত্তার জন্য তিনজনের পরিবর্তে এখন থেকে ছয়জন পুলিশ সদস্য দেবো। সার্বিক বিষয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘শাটল ট্রেনে রমজানের এমন ঘটনা ঘটা খুব দুঃখজনক। শাটল ট্রেনের সমস্যা সমাধান করতে প্রক্টরিয়াল বডিকে নির্দেশনা দিয়েছি। পাশাপাশি রেলওয়ের সঙ্গেও কথা বলবো।’

এমআইটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm