দুই নেতাকে দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের পা টেপানোর একটি ছবি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই এমন কাণ্ডের সমালোচনা করে ফেসবুকে সরব হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হলের একটি কক্ষ থেকে তোলা সেই ছবিতে দেখা যায়, চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক শুয়ে আছেন বিছানায়। দুই পাশে দুই নেতা বসে তার পা টিপছেন।
এদের একজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের উপকর্মসূচি ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক শামীম আজাদ এবং অপরজন উপক্রীড়া সম্পাদক শফিউল ইসলাম।
এর আগে নারীবিষয়ক বিভিন্ন ঘটনায় সংবাদ শিরোনাম হন রুবেল। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে চাঁদাবাজি নিয়ে সংঘাতে জড়ানোর অভিযোগও রয়েছে।
২০১৩ সালে স্নাতকোত্তর পাস করা রেজাউল হক রুবেল এখনও শাহ আমানত হলের ৩১১ নম্বর কক্ষটি দখল করে রেখেছেন। সেখানেই এই কাণ্ড ঘটেছে। গত অন্তত ১৭ বছর ধরে তিনি ক্যাম্পাসে বসবাস করছেন।
এদিকে বিপুল সমালোচনার মুখে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেছেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা থাকি আমাদের বাবা মা, আমাদের সাথে থাকে না। এইখানে আমরা একে অন্যের পরিবার হিসাবে পাশে থাকি, কেউ যখন অসুস্থ হয়, তখন আমরাই একে অন্যকে সেবা যত্ন করি। ঠিক সেই রকমেই এক দুই কিংবা আড়াই বছর আগে, আমি খুব অসুস্থ হলে এবং আমার শরীরে ইউরিক এসিড় বেড়ে যায় এবং আমার পা দুটি ফুলে যায়। শুধুই মানবিক দিক বিবেচনায় আমার ছোট ভাইরা, আমার সেবা যত্ন করে। যেটা আমার পরিবার থাকলেও করতো৷’
তিনি দাবি করেছেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে কেউ একজন এই পিক তুলে রেখে আমার ইমেজ নষ্ট করার জন্য ফেসবুকে ছাড়ে৷ অসুস্থ মানুষের সেবা করা যদি অপরাধ হয়, তাহলে আমি অপরাধ মাথা পেতে নেবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী একে অন্যের সেবা করে। কারণ আমাদের এইখানে পরিবার থাকে না। আমি ছাত্রলীগের সভাপতি বলেই এই সাধারণ বিষয়টাকে বাজেভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
সিপি