চবির আবাসিক হল খুলে দিন— চিঠি দিয়ে মিনতি শিক্ষার্থীদের

খোলার কোনো সুযোগ নেই— বলছেন প্রক্টর

করোনাকালীন বিশেষ পরিস্থিতিতে পরীক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবাসিক হল খুলে দেওয়াসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এই নিয়ে তারা উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপিও দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) চার দফা দাবি সংক্রান্ত এই স্মারকলিপি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

চার দফা দাবি হলো— ১. শুধু পরীক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে হল খুলে দেওয়া, ২. শাটল ট্রেন চালু হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিউ মার্কেট টু জিরো পয়েন্ট বাস সার্ভিস চালু করা, ৩. মেসভাড়া সংকট নিরসনে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া এবং ৪. করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ ও শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা লিখেছেন, করোনা মহামারির এই সময়ে আমরা নানা ধরনের পরিস্থিতি ও অসুবিধার মুখোমুখি হচ্ছি। আমাদের অনেকের পরীক্ষার রুটিন দিলেও হল খুলে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে আবাসন সমস্যা ও আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আমাদের যাতায়াতের জন্য বর্তমানে কোনো ব্যবস্থা নেই। মেসভাড়া সংকট নিরসন সংক্রান্ত আমাদের দাবি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাস্তবায়নেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।

এই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে এই চার দফা দাবি পেশ করছি। আশা করছি সেগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রশাসন উদ্ভূত সমস্যাগুলোর সমাধান করবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী দেওয়ান তাহমিদ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ৪ দফা দাবিতে আমরা প্রশাসনকে স্মারকলিপি দিয়েছি। হল খোলা নিয়ে প্রশাসন করোনা আক্রান্তের ঝুঁকির কথা বলছে। স্বাস্থ্যবধি মেনে খুলে দেওয়া যায় কিনা সে ব্যাপারে আমরা তাদের পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছি। এছাড়া প্রশাসন বলছে বাস সার্ভিসের জন্য কোনো খাত নেই। কিন্তু আমরা মনে করি প্রশাসন চাইলেই এটি সম্ভব হতে পারে।

তিনি বলেন, করোনার এই বিশেষ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের জন্য বাস সার্ভিস চালু হলে স্বাস্থ্যঝুঁকিও কমবে। তারা এটি বাস্তবায়ন করা যায় কিনা ভেবে দেখবেন বলে জানিয়েছে। আমরা আশা করি এটি বাস্তবায়িত হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, যখন পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিলো তখন হল খোলা রাখা হবে না স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছিল। শিক্ষার্থীরা তা মেনেও নিয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হল খোলা নেই। তাই এই মুহূর্তে হল খোলার কোনো সুযোগ নেই। তাছাড়া বাস চালুর কথাও শিক্ষার্থীরা আগে বলে নাই। এখন শিক্ষার্থীরা আমাদের কাছে দাবি জানিয়েছে, আমরা বিবেচনা করে দেখবো কী করা যায়।

এমআইটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!