চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নির্মাণাধীন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলার প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোয়ারেন্টাইনের জন্য হলটি জেলা প্রশাসনকে ছেড়ে দিতে সম্মত হয়েছে। এ নিয়ে ক্যাম্পাস জুড়ে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের আদেশে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ক্যাম্পাসের এক পাশে অবস্থিত। আমরা কয়েকটি শর্তে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন করতে রাজি হয়েছি। জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, এটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তবে আমরা বলেছি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের সময় যাতে কোন ব্যক্তির আত্মীয়স্বজন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে না পারে। এছাড়া কেউ আক্রান্ত হলে দ্রুত এখান থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে। একইসাথে আপৎকালীন সময়ের পরে সেনাবাহিনী পুরো হল স্যানিটাইজ করবে।’
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে বসবাসকারী শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের দক্ষিণে ১০০ গজের মধ্যে ৫০০ কর্মচারীর পরিবার বাস করে। এছাড়া ২০০ গজ পূর্বেই শিক্ষকদের আবাসিক কলোনি। এটি অনেকটা বারুদের মধ্যে মধ্যে বসবাস করা। দেশের স্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে হলেও, সবার আগে অবশ্যই এখানে যারা বসবাস করে তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির দিকটি প্রাধান্য দেওয়া উচিত ছিল।
এ বিষয়ে চবি শিক্ষক সমিতির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা খবরটি শুনেছি এবং বিভিন্নজনের সাথে কথা বলেছি। আমরা মনে করছি সিদ্ধান্তটি সঠিক হয়নি। অনলাইনে আমরা মিটিং ডেকেছি। সিদ্ধান্ত রিভিউ করতে বলাসহ আমাদের সিদ্ধান্ত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জানাবো।’
এসএস/সিপি