চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাবেক উপাচার্য শিরীণ আখতার ও তাঁর প্রশাসনের বিভিন্ন ‘অনিয়ম ও দুর্নীতি’ তদন্তে ক্যাম্পাসে এসেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা। দিনভর ক্যাম্পাসে অবস্থান করে তারা বিভিন্নজনের সাক্ষাৎকার নেন। তবে সাক্ষাৎকার দিতে ডাকা হলেও ক্যাম্পাসে আসেননি সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।
রোববার (৯ জুন) প্রতিনিধিদল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসেন। এ সময় তারা মেরিন সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম, সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক নূরুল আজিম সিকদার, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল ফারুক, আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক রকিবা নবী, বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক তাসলিমা বেগম, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নূর আহমদ, ভারপ্রাপ্ত হিসাব নিয়ামক মো. আমিরুল ইসলাম, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আলতাফ উল আলম ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শিক্ষকের সাক্ষাৎকার নেন।
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, ‘আমরা ঘটনাসংশ্লিষ্ট অনেকের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। সাবেক উপাচার্য অসুস্থ থাকায় সাক্ষাৎকার দিতে আসতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন।’
ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদ ভবন উদ্বোধনে ৪৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ব্যয় ও বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার কর্তৃক মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পাওয়া প্রধানমন্ত্রী ও চট্টগ্রামের দুই মন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে এই দুই বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দেওয়া ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হওয়ায় বিভিন্ন প্রশাসনিক ও আর্থিক অনিয়ম তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন।
তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিতে ইউজিসি সদস্য বিশ্বজিৎ চন্দকে আহ্বায়ক ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ পরিচালক মো. গোলাম দস্তগীরকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
এছাড়া কমিটিতে ইউজিসির অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) রেজাউল করিম হাওলাদারকে সদস্য করা হয়। কমিটি গঠনের প্রায় সাড়ে চার মাস পর তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এলেন সদস্যরা।