চবির অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হক আর নেই

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইতিহাস বিভাগের সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. মাহমুদুল হক মারা গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন।

মঙ্গলবার (২৫ মে) আনুমানিক সন্ধ্যা সাতটার দিকে তিনি নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।

বুধবার জোহরের নামাজের পর জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে তার জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। বিষয়টি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন ইতিহাস বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ আল মাসুম।

তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যায় ড. মাহমুদুল হক স্যার মারা গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন। সপ্তাহখানেক আগে এই সমস্যা নিয়ে নগরীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।’

ইতিহাস বিভাগের আরেক প্রফেসর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহবুবুল হক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘মাহমুদুল হক স্যার অত্যন্ত মেধাবী একজন শিক্ষক ছিলেন। তিনি ইউএস ফরেন পলিসি বিশেষজ্ঞ ছিলেন। চতুর্থ বিসিএসে তিনি সপ্তম স্থান অধিকার করেছিলেন। এছাড়া তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে রণাঙ্গনে সম্মুখ সারিতে থেকে যুদ্ধ করেছেন। একটি ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডারও ছিলেন। যদিও তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করেননি।’

প্রফেসর ড. মাহমুদুল হকের বাড়ি চট্টগ্রামের কুমিরায়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রথম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের একমাত্র ফুলব্রাইট স্কলারস ছিলেন এই গুণি অধ্যাপক।

ড. মাহমুদুল হক বেশ কিছু বই লিখেছেন— যার অধিকাংশ বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি সম্পর্কিত।

এদিকে ড. মাহমুদুল হকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে। বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও এমফিল গবেষক নুরুল হামিদ কানন বলেন, ‘মাহমুদুল হক স্যার একজন বিচক্ষণ শিক্ষক ও বড় মাপের একাডেমিশিয়ান ছিলেন। স্যার নিতান্তই সাদামাটা জীবনযাপন করতেন। তিনি ছিলেন একজন প্রচার বিমুখ সময়নিষ্ঠ ও দায়িত্ববান মানুষ এবং লাইফ লং লার্নার। স্যারের মৃত্যু ইতিহাস বিভাগের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল।’

এমআইটি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!