ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) প্রকাশ্যে রাজনীতিতে ফিরছে ইসলামী ছাত্রশিবির।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ২৪ দফা দাবি জানিয়ে এক বিবৃতি প্রকাশ করার মাধ্যমে প্রকাশ্যে এলো জামায়াতে ইসলামী সহযোগী এই সংগঠনটি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের বর্তমান কমিটির সভাপতি ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের নাহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মার্কেটিং বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মুহাম্মদ ইব্রাহিম।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আলহামদুলিল্লাহ, শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি মহান আল্লাহর দরবারে। যার অশেষ মেহেরবানিতে দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শক্তির জুলুম-নির্যাতন থেকে বাংলাদেশের মানুষ মুক্তি পেয়েছে। দুরুদ ও সালাম পেশ করছি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ওপর, যাঁর সুমহান আদর্শ পৃথিবীর সকল মানুষের একমাত্র মুক্তির পথ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ ক্যাম্পাসে শাহাদাৎ বরণকারী বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ১০ জন শহীদ ভাইসহ ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে শাহাদাৎ বরণকারী সকল শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি এবং শাহাদাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা কামনা করছি, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমাদের এই স্বাধীনতা। পাশাপাশি আহত এবং পঙ্গুত্ববরণকারী সকলের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সার্বিক পরিবেশ উন্নয়নে অন্তবর্তীকালীন সরকার সৎ, দক্ষ ও যোগ্য উপাচার্য, উপ উপাচার্য নিয়োগ দেওয়ায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, চবি শাখার পক্ষ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত সম্মানিত শিক্ষকমন্ডলীকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
এতে আরও বলা হয়, ‘শহীদ হৃদয় তরুয়া, শহীদ ফরহাদসহ অসংখ্য শহীদের রক্তে অর্জিত এই স্বাধীন দেশে শিক্ষার্থীদের অধিকার, বাকস্বাধীনতা, দুর্নীতি ও শিক্ষকদের রোষাণলমুক্ত একটি ক্যাম্পাস উপহার দেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসন—এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা। শিক্ষার মানোন্নয়ন, মেধাবীদের মূল্যায়নসহ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক সকল দাবি বাস্তবায়নের মাধ্যমেই কেবল জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ করা সম্ভব। ফ্যাসিবাদের আমলে নিয়মে পরিণত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অন্যায় এবং অনিয়মের ইতি টানার সময় এসেছে। আর তাই বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পক্ষ থেকে আমরা চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানকে ধারণ করে ২৪ দফা দাবি উত্থাপন করছি।’
ছাত্রশিবির ঘোষিত ২৪ দফা দাবির মধ্যে একাডেমিক ও প্রশাসনিক সকল কার্যক্রম আধুনিকায়ন এবং যুগোপযোগী করা, দ্রুত সকল বিভাগ ও ইন্সটিটিউটকে সেশনজটমুক্ত করা, খাবারের মান বৃদ্ধি, পরিবহণ সংকট নিরসন, আবাসিক হলে আসন বরাদ্দসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়।
এমআই