চবিতে মাটিচাপা হরিণের সেই মাংস

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাস থেকে উদ্ধার করা সেই ১৫ কেজি হরিণের মাংস মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। এতে তিনটি হরিণের মাংস ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সামনে শুকিয়ে যাওয়া লেকে মাংসগুলো মাটি চাপা দেয়া হয়। এসময় বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের তিনজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সহকারী প্রক্টর এসএএম জিয়াউল ইসলাম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের তিনজন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আইন অনুযায়ী আমরা মাংসগুলো মাটি চাপা দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জেনেছি একটি সংঘবদ্ধ চক্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্যপ্রাণি শিকারে জড়িত। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া কিছু ভিডিও ফুটেজ পর্যবেক্ষন করে তাদের শনাক্তের চেষ্টা করছি।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনের পাশে এক ব্যক্তির তরকারির খাঁচা থেকে এই মাংস উদ্ধার করা হয়। তবে ওই ব্যক্তি কৌশলে পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা যায়নি।

বিষয়টি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী প্রক্টর এসএএম জিয়াউল ইসলাম বলেন, চাকসুর পাশে এক ব্যক্তি তরকারির খাঁচা নিয়ে সন্দেহজনক চলাফেরা করলে ছাত্ররা তার খাঁচা তল্লাশি করে। এসময় তার খাঁচার ভিতরে তরকারির নিচে ছোট ছোট প্যাকেট করা আনুমানিক ১৫ কেজি ওজনের হরিণের মাংস পাওয়া যায়। পরে আমরা খবর পেয়ে মাংসগুলো প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসি।

তিনি আরও বলেন, কৌশলে ওই লোক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা যায়নি। আমরা পুলিশকে খবর দিয়েছি। বন্যপ্রাণী আইনে ব্যবস্থা নিবো।

এমআইটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!