চবিতে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ—দিনভর উত্তেজনা, তদন্ত কমিটি গঠন

মধ্যরাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের বিজয় ও সিএফসি গ্রুপের সংঘর্ষের পর দিনভর ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যদিকে ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি হল প্রভোস্ট ও হাউজ টিউটরদের সার্বক্ষনিক হলে অবস্থান করতে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘ঘটনা তদন্তে সহকারী প্রক্টর রামেন্দু পারিয়ালকে আহ্বায়ক ও সহকারী এস এম জিয়াউল ইসলামকে সদস্য সচিব করে ৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর ডিসেপ্লিনারি কমিটির সভা ডেকে দোষীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে।’

এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক বারোটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের মোড়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে তা শাহ আমানত হলেও ছড়িয়ে পরে। এসময় এক গ্রুপ অন্য গ্রুপের দিকে শত শত ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় উভয় গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়। এদের মধ্যে ৬ জন বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার ও বাকিরা বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের চিফ মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মোহাম্মদ আবু তৈয়ব চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এখানে ৬ জন চিকিৎসা নিতে এসেছিলো। এদের মধ্যে তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বাকি তিনজনের অবস্থা কিছুটা গুরুতর হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাদাৎ হোসেন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি শান্ত আছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

এমআইটি/এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!