চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষকে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের তিন ইউনিটে মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া ৮২ শিক্ষার্থীর ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই আদেশের বিরুদ্ধে চবি কর্তৃপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করলেও সেটি শুনানিতে ওঠেনি আর।
শেষ পর্যন্ত রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের নজরে আনেন ওই ৮২ শিক্ষার্থীর কয়েকজন। ভার্চুয়ালি উপস্থিত হয়ে ওই শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা কোথাও ভর্তি হইনি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ও আমাদের ভর্তি করেনি। আমাদের শিক্ষাজীবন আটকে আছে।’
এরপর আপিল বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আবেদন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন মঙ্গলবার ।
উচ্চ মাধ্যমিকে মানোন্নয়ন পরীক্ষা দেওয়া চবির ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় (এ, বি ও সি ইউনিটে) মেধা তালিকায় স্থান পাওয়ার পরও ভর্তি প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে ৮২ জন শিক্ষার্থী তিনটি রিট করেন। এছাড়াও ডি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া একজন শিক্ষার্থী একটি রিট করেন।
ওই সব রিটের শুনানি নিয়ে গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের তিন ইউনিটে মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া ৮২ শিক্ষার্থীর ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন। এছাড়াও ডি ইউনিটে মানোন্নয়ন দেওয়া ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশ না করায় রিট আবেদনকারীর ফলাফল প্রকাশ ও সেই অনুযায়ী ভর্তির বিষয়টি বিবেচনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
পরে ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আবেদনগুলো দীর্ঘদিন শুনানিতে না আসায় শিক্ষার্থীরা রোববার ভার্চুয়ালি বিষয়টি আপিল বিভাগের নজরে আনেন।